দেড় যুগ ধরে নিজেদের মধ্যে অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নিজেদের শাসনামলের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের কারণে জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিএনপি। তবুও দলটিকে বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর ছিলেন বিএনপিপন্থী কিছু বুদ্ধিজীবী।একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে,বিএনপির ফান্ড থেকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি মাসে যে মাসোহারা দেওয়া হতো, তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। কেননা, অনেক টাকা ব্যয় করেও নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা বা আটকানো যায়নি। তাই বুদ্ধিজীবীদের পেছনে আপাতত টাকা ঢালা বন্ধ রেখেছে বিএনপি। আর এতে বোঝা যাচ্ছে, টাকা নেই, তাই বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিও নেই।
জানা গেছে, নানান ফন্দি-ফিকির করে বিএনপিকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এখন তারাও চুপসে গেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিএনপির বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি নেই।
বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন সরকার পতনের নানান রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। বিএনপি নেতারা এটাও বলছেন যে, এই সরকার পুরো মেয়াদ থাকতে পারবে না, যেকোনো সময় সরকারের পতন হবে। বিএনপির এরকম বক্তব্য এবং আন্দোলনের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তা হলো বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা এবং অনুপস্থিতি।
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেশি কথা বলতেন ড. শফিক রেহমান, ড. আসিফ নজরুল, মাহমুদুর রহমান মান্না, ফরহাদ মাজহার, গোলাম মর্তুজা, ড. জাহেদুর রহমান ও গোলাম মাওলা রনি। কিন্তু বর্তমান সময়ে তাদের মুখে কোনো কথা নেই। তারা একেবারেই নিশ্চুপ। বিএনপির হয়ে তারা বর্তমান সময়ে কোনো কথা বলছেন না।
ঠিক কী কারণে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা নিশ্চুপ হয়ে গেলেন, তার সঠিক কারণ অবশ্য কেউ বলতে পারছেন না।