নিউজ ডেস্ক
: চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসের ১০ তারিখে মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করার কথা খালেদার। তবে চলতি বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাড়া পরিশোধ করছেন না তিনি।
এদিকে ভাড়া চাইতে নোটিশ দিলে বাড়ি দখলেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে বাড়িওয়ালাকে। ফলে খালেদা জিয়াকে বাড়ি ভাড়া দিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাড়ির মালিক।
একাধিক গোপন সূত্র বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির মতো দলের চেয়ারপার্সন হওয়ায় সম্মান করে তাকে বাড়ি ভাড়া দেন ফিরোজার মালিক। তবে খালেদা জিয়া সেই সম্মান বা সুযোগের অপব্যবহার শুরু করেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিমাসের ১০ তারিখে ভাড়া পরিশোধ করার কথা রয়েছে। শুরুর দিকে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করলেও দুর্নীতি মামলায় কারাবরণ শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে ফিরোজায় ফিরে আর ভাড়া পরিশোধ করেননি খালেদা। শুরুতে করোনার প্রকোপসহ নানা অজুহাতে দেখিয়ে ভাড়া পরিশোধ করেননি তিনি। পরবর্তীতে বিদেশে যাওয়ার গুঞ্জন শুনে বাড়িওয়ালা নভেম্বর মাসে খালেদা জিয়াকে বার বার ভাড়া পরিশোধের কথা বললেও তিনি কানে তুলেননি। একাধিকবার নোটিশ দিয়েও লাভ হয়নি। বরং ভাড়া চাওয়ার নামে খালেদা জিয়াকে বিরক্ত করায় বাড়িওয়ালাকে ধমকিও দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস, সোহেল ও আবদুল আউয়াল মিন্টু।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কোনদিন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সেই বাড়ি দখল করে খালেদা জিয়াকে উপহার দেয়া হবে বলে বাড়িওয়ালাকে হুমকি দেয়া হয়েছে। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে হেনস্থা করার অভিযোগে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িওয়ালাকে শায়েস্তা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
এ পরিস্থিতিতে মানবতা দেখিয়ে খালেদাকে বাড়ি ভাড়া দিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাড়িওয়ালা। এখন বাড়ি হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে মুখ বুঝে খালেদা জিয়ার সব অত্যাচার সহ্য করছেন।
ফিরোজার মালিকপক্ষের লোকজন বলছেন, বাড়ি ভাড়া চাওয়ায় খালেদা জিয়া ও তার নেতারা বাড়িওয়ালাকে চরম অপমান-অপদস্থ করেছেন। বর্তমানে ফিরোজা দখল করার পাঁয়তারা শুরু করছেন। এ নিয়ে আরো বাড়াবাড়ি করলে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানিয়েছেন।