নিউজ ডেস্ক
: নতুন করে অগ্নি সন্ত্রাসের রাজনীতি নিয়ে তুমুল ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিকে চাঙা করতে পুনরায় অগ্নি সন্ত্রাস, হত্যা ও ভীতিকর রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে তৎপর হয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই রাজধানীর ৯টি পয়েন্টে ১০টি বাসে আগুন দেয় বিএনপির কর্মীরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পরিষ্কারভাবে দলীয় কর্মীদের বাসে আগুন দেয়ার বিষয়ে জানা যায়।
জানা গেছে, তারেক রহমানের ইন্ধনে ১২ নভেম্বর রাজধানীতে বাসে আগুন দেয় যুবদলের কর্মীরা। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খালেদাসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সূত্র মতে, এতে খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং তিনি পুনরায় জেলে যেতে পারেন- এমন শঙ্কা থেকেই ১২ নভেম্বর রাতে ফোন করে তারেককে এমন বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য ধমকান। দুজনের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক ফোনালাপ হয়। এ সময় খালেদা ও তারেকের মধ্যে প্রচণ্ড তর্ক-বিতর্ক হয়।
ওই ফোনালাপে তারেক বলেন, তার (বেগম জিয়ার) ভুল ও ভীতু সিদ্ধান্তে বিএনপি আজ মৃতপ্রায়। তিনি বিএনপির ক্ষমতা ছাড়তে চান না। এসব শুনে খালেদা জিয়া চরম ক্ষুব্ধ হন এবং তারেককে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে বলেন।
অপরদিকে খালেদা জিয়া বলেন, তোমার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সিনিয়র নেতারা খেসারত দিচ্ছেন। হুকুম দিলেই নেতা হওয়া যায় না। নিজে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরো, নেতাদের তো খোঁজও নাও না।
বিশ্বস্ত ওই সূত্র আরো জানায়, খালেদা জিয়ার এমন কটু কথা শুনে মাথা গরম হয়ে যায় তারেকের। এক পর্যায়ে তিনি রাগ করে ফোন কেটে দেন বলেও জানা গেছে।