গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আসল সত্য হলো- জোনায়েদ সাকীর নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এসময় যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় এবং মিছিল নিয়ে উল্টো ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু মঞ্চের নেতাকর্মীরা পুলিশের কথায় পাত্তা না দিয়ে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঞ্চের নেতাকর্মীদেরকে পুলিশ উল্টো দিকে ফিরে যেতে বললে তারা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে মঞ্চের নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এবং তারা প্রত্যেকেই ছিল সহিংস এবং পুলিশের ওপর আক্রমণাত্বক। পরে আত্মরক্ষাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলাম বলেন, উনারা অনুমতি ছাড়াই এখানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসেছেন। তারপরও আমরা তাদেরকে বারবার বলেছি যে, তাদের এখানে অনুমতি নেই। কিন্তু উনারা আমাদের কথা শুনেননি। উনারা আমাদেরকে কথা দিয়েছিলেন যে, সচিবালয়ের সামনে এসে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে চলে যাবেন। কিন্তু উনারা আমাদের দেওয়া ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও উনারা তা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে চেয়েছেন। এর আগে কখনোই এমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি গণতন্ত্র মঞ্চের।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যারিকেডগুলোর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করছিল তাদের দেখেই মনে হচ্ছিল এরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক। আমাদের মনে হয়েছে উনারা এই ব্যারিকেড ভাঙার জন্য লোক ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন।