হামাস-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ যখন চলমান তখন ফিলিস্তিনিদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো ইসরায়েলকে একশো কোটি টাকার সহায়তা দিলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনূস প্রতিষ্ঠিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ আমেরিকা। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি ইসরায়েলকে ওই সহায়তা দেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘটনায় ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের দালালি করতে গিয়ে ওই ইহুদি রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ অনুদান দেন। এর আগে বাংলাদেশের এই সুদ ব্যবসায়ী হিলারি ক্লিনটনকেও অনুদান দিয়েছিলেন তাকে নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য।
অন্যদিকে ইসরায়েলের ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে যখন সমগ্র মুসলিম বিশ্ব সোচ্চার তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। বিগত ১০ দিনে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমের সামনে এসেও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে তার মন্তব্য স্পষ্ট করেননি।
এর আগে গণঅধিকার পরিষদের ক্রান্তিলগ্নে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছিলো ইসরায়েল। ফলত নুরও ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনূসের বিষয়টি সামনে আসাতে এক প্রকার গা ডাকা দিয়েছেন তিনি ও তার দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।
এ অবস্থায় ড. ইউনূস ও নুরের বর্তমান অবস্থান নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ জনতা। তারা বলছেন, দেশের বিরুদ্ধে ইউনূস-নুরের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। কিন্তু দেশের আপামর মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অধিকার তাদের নেই। নুর-ইউনূসের এমন বিতর্কিত ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাজাও চান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
