জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ২৬ (২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭ (১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
দুদকের আইনজীবীর মতে, এ মামলায় সাজা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। এ মামলায় যদি জোবাইদা রহমান দণ্ডিত হন তাহলে তিনিও নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হবেন। এটি যদি হয় তাহলে জিয়া পরিবারের সবাই নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হিসেবে গণ্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত। শর্তযুক্ত মুক্তি নিয়ে বলতে গেলে এখন তিনি রাজনীতির বাইরে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের বিধান মতে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যে পর্যন্ত এই দণ্ড পরিবর্তন না হয় এবং তিনি খালাস প্রাপ্ত না হন। সেই হিসেবে লন্ডনে পলাতক বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো এখন আর নেই। বাকি শুধু জিয়া পরিবারের দুই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান এবং শর্মিলা রহমান সিঁথি।
আজ যদি জোবায়দা রহমান দণ্ডিত হন তাহলে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ছাড়া জিয়া পরিবারের সবার জন্য নির্বাচনের সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।