logo
Friday , 28 July 2023
  1. সকল নিউজ

ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

প্রতিবেদক
admin
July 28, 2023 11:28 am

ভুয়া বিল-ভাউচারে কলেজ ফান্ডের দুই কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রতন কুমার সাহাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ও কলেজের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর কাজী জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক রতন কুমার সাহা, তৎকালীন হিসাবরক্ষক আব্দুল হান্নান এবং ক্যাশিয়ার কাজী জাহাঙ্গীর আলমের পরস্পর যোগসাজশে দুই কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহারের বিবরণে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় খাতভিত্তিক আর্থিক আয়-ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে। রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এ পদে যোগ দিয়ে তার আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের দায়িত্ব থেকে কলেজের ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মোট স্থিতি সাত কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৭২৮ টাকা বুঝে নেন। রতন কুমার সাহার সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৯ সালের ৩ মে তাকে ওএসডি করা হয়। এর পর একই বছরের ১১ জুন পরবর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন কলেজের ব্যাংক হিসাবগুলোর স্থিতি ছিল পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪৬ টাকা।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, অধ্যাপক রুহুল আমিন ভূঁইয়া ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগ দিয়ে কলেজের পাঁচ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষা তহবিল, উন্নয়ন তহবিল, ল্যাবরেটরি তহবিল, অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিলসহ উল্লেখযোগ্য ২২টি খাতের আয়-ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখে, এগুলোতে বিল-ভাউচার নেই— এমনকি ব্যয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা কমিটির রিকুইজিশনও ছিল না। মালামাল গ্রহণ বা বিতরণের প্রমাণ নেই এবং বিধি মোতাবেক ক্রয়/ব্যয় হয়নি মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কলেজের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি অধ্যাপক রতন কুমার সাহার কর্মকালীন বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও আত্মসাতের প্রমাণ পায়।

অন্যদিকে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গঠিত আরেকটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও। এর পর বিষয়টি দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হলে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। অনুসন্ধানে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দুই কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ৯০৭ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে দাঁড়িয়েছে

ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানীকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা

সেই বৃদ্ধা মাকে ঠাঁই দিল বিসিএস ক্যাডার-বিত্তবান সন্তানরা

জঙ্গি সংগঠনে জামায়াত আমিরের অর্থায়নের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে পুলিশ

‘ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এনবিআর, সরকারের হাত নেই’

টিসিবির গাড়িতে ভারতীয় পিঁয়াজ মিলবে ৪০ টাকায়

নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের পদলেহনে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

হাইকমান্ডের ডাকে সাড়া নেই, বিএনপি আন্দোলন নিয়ে বেকায়দায়