ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ষড়যন্ত্রের জেরে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আবেদন গৃহীত হলেই গ্রেফতার হতে পারেন এমন আতঙ্কে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছেন নুর।
লন্ডন পলাতক বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতো তিনিও ফেরারি হতে পারেন এমন খবর চাউর হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরে। নুরপন্থী নেতারা ছাড়া এই খবর কেউ জানে না বলে জানা গেছে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে।
সূত্রটি জানায়, নুর প্রথমে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ড যাবেন। এরপর সেখানকার স্থানীয় ব্রোকারদের মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে আশ্রয় নেবেন। নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক চাপকে বেগবান করে দেশে ফেরার প্রাথমিক পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সমমনা বিরোধী দলগুলোর লবিস্টদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ডোনারদের থেকে বিপুল অঙ্কের ফান্ড সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে আসবেন। ব্যয় করবেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া নিজ দলসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর মাঝে।
এর আগে হজ পালনের নামে দুবাইয়ে মেন্দি সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৪০০ কোটি টাকার মতো বড় অঙ্কের ফান্ডিং করে দেশে ফেরেন নুরুল হক নুর। পরে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে। দলের এমন ভঙ্গুর অবস্থায় নুরের বিরুদ্ধে মামলা ও দেশ পালানোর পরিকল্পনাকে ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, নুরকে আর এগোতে দেয়া উচিত নয়। যেভাবে তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তাতে করে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হবে। তাই দেশ পালানোর আগেই প্রাপ্ত প্রমাণাদির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা উচিত।