তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আর এই নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়।
এদিন বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার শান্তির বাজার, হাসনাবাদ, কেয়ারি, বাইশগাঁও, বিপুলাসার, নাথেরপেটুয়া, খিলাসহ মোট ১২টি স্থানে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নোয়াবে না উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সপ্তম নৌবহর আর অস্ত্র পাঠিয়ে আমাদের বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা অর্জন করেছে।
বিএনপি সুশাসন কিভাবে দেবে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় খাদ্যঘাটতি নিয়ে সমালোচনা হলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী জবাব দিয়েছিলেন, তাতে বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তি সহজ হয়। আর আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, ভিক্ষুকের জাতি হওয়ার জন্য ৩০ লাখ লোক শহাদাৎ বরণ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেনি।
লক্ষণপুরে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। তাই কারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে, সেই সিদ্ধান্তও দেশের জণগণ ভোটের মাধ্যমে নেবে। এখন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বানচাল করতে অনেকে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাই না। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। যত চাপই আসুক আমাদের নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী এবং সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
নিজের নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে কাউকে লুটপাট, সন্ত্রাস ও কোনো প্রকার অত্যাচার করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ৯৬ সালে এমপি হওয়ার আগে মনোহরগঞ্জে এক কিলোমিটারও পাকা সড়ক ছিল না। এখন আর কোনো রাস্তা পাকা ছাড়া নেই। উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, যার সুফল স্থানীয় জনগণ পাচ্ছেন।’
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।