logo
Wednesday , 17 January 2024
  1. সকল নিউজ

শেখ হাসিনা এখন ছুটে চলেছেন স্মার্ট দেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট পথে

প্রতিবেদক
admin
January 17, 2024 9:33 am

বহু কাঙ্ক্ষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। জাতির সামনে যা ছিল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। উত্তরণের এই যাত্রাপথ সহজ এবং স্বাভাবিক ছিল না।

বিরোধী পক্ষের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছাড়াও হরেক বৈরিতা ছিল। তারপরেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে। কিন্তু শেষ অবধি নির্বাচন বানচাল কিংবা নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো অজুহাত আর টেকেনি। তবে আগে নানা হঠকারিতা, নাশকতা আর সহিংস দুর্ঘটনার আলামত থাকলেও ৭ জানুয়ারি শান্তি আর সুস্থিরভাবে জনগণ ভোটে অংশগ্রহণ করেছে। প্রতি ৫ বছর পরপর উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ নতুন ভোটার হয়।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২৪ সালের নতুন সময়ের নবসম্ভাবনায় অসংখ্য নবীন প্রজন্ম যে যুগান্তকারী অংশগ্রহণে নিজের লক্ষ্য আদর্শকে ভোটের মাধ্যমে দৃশ্যমান করে তোলে তাও এক অবিস্মরণীয় চিত্র। এবার তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটার ছিল দেড় কোটি। সামান্য বিষয় নয় কিন্তু। চার মেয়াদে দেশ শাসন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও তাঁর উন্নয়ন ধারাবাহিকতার ধ্বজা উড়িয়ে জিতে গেলেন। শুধু তাই নয়, আরও পাঁচটি বছর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে যথাস্থানে পৌঁছে দিতে সুযোগও পেয়ে গেলেন।
আধুনিক, নতুন ও প্রযুক্তির বাংলাদেশের অনন্য স্থপতি শেখ হাসিনা এখন ছুটে চলেছেন স্মার্ট দেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট পথে। নির্বাচন নিয়ে নানামাত্রিক বাগবিতণ্ডা, ন্যক্কারজনক ঘটনাসহ বড় দল বিএনপির নির্বাচন বর্জনের পরও অবিচল ভাবমূর্তিতে স্থির থাকতে প্রধানমন্ত্রীর জুড়ি মেলা ভার। অর্থাৎ শুধু আশা নয়, বরং উদ্দীপ্ত চেতনায় লড়াকু অভিগমনে দেশ ও জাতিকে নিয়ে তাঁর দুরন্ত কর্মসাধনা সহজে থামবার নয়।
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা মোতাবেক ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে দলের জয়লাভের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সরকার গঠনের সুযোগ পেলেন। সেই শুরু নতুন যাত্রাপথে অদম্য ক্লান্তিহীনভাবে। নদীমাতৃক বাংলার অপার নৈসর্গিক বৈভবে নিজেকে লালন-ধারণ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিরায়ত বঙ্গরমণীর অপার মহিমায় দেশ ও জাতিকে যেভাবে এগিয়ে নিয়েছেন তা এক অনন্য আধার আর শৌর্য-বীর্য।

সেখান থেকেই যে অদম্য প্রবাহে বাংলার মাটি ও মানুষকে আলিঙ্গন করলেন তা আজ অবধি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো, আবৃত। অন্তর্নিহিত বোধ আর দেশপ্রেমের অনন্য চেতনায় ভর করে দেওয়া হয় নির্বাচনী অঙ্গীকার। সঙ্গত কারণে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা বরাবরই ইশতেহারকে বাস্তবায়ন করতে অবিচল এক রমণীয় সত্তা। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে তেমন প্রতিজ্ঞা বরাবরই দুরন্ত কর্মযোগের সহগামী হয়েছে।

চার মেয়াদের শাসনামল তারই সচিত্র আবেদন নিয়ে জনগণের জীবনমান নির্বিঘ্ন আর নিঃসংশয় হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নে দেশ আজ বিশ্বের নজরকাড়া। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, সমুদ্রনগরী কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে রেলস্টেশনসহ রেললাইন স্থাপন উন্নয়ন শৌর্যের অবধারিত কর্মযোগই নয়, যাতায়াত ব্যবস্থাপনায়ও অভূতপূর্ণ উন্নয়ন।
২০২৪ সালের নতুন বছরের শুভ সূচনায় জাতি আবারও কাক্সিক্ষত উন্নয়ন যাত্রাপথেরই অংশীদার হতে পারল বলা যায়। কারণ অসম্পূর্ণ উন্নয়নযজ্ঞ যথার্থ রূপকারের হাতেই নির্বিঘ্নে, নিরাপদে এগিয়ে যাওয়ার সিংহভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো বহু উন্নয়ন যাত্রাপথ এগিয়ে যাওয়ার মহাসন্ধিক্ষণে, যা আধুনিক ও প্রযুক্তির বাংলাদেশকে নবরূপে অনন্য কাঠামোয় শেষ অবধি নিয়ে যাবে। এ শুধু প্রত্যাশাই নয়, বরং দৃশ্যমান হরেক অবকাঠামোর ভবিষ্যৎ যাত্রাপথ। ২০২৪ সালের নির্বাচন কাক্সিক্ষত পরিবেশ পরিস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শীর্ষপদে অবস্থান নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে সামনের দিকে ধাবিত হবেন সেটা এক অবধারিত পরিক্রমা তো বটেই। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন অনুষ্ঠান অত্যন্ত জরুরি ছিল। শুধু তাই নয়, সময়ের বিবেচনায়ও আর গাফিলতি কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেত না। বিভিন্ন সংকট তৈরি হতেও সময় লাগত না। দেশ ও জাতি যে বিপন্ন অবস্থায় পড়ে যেত সেখান থেকে উত্তরণ কঠিন হতো বটেই।

ফলে উন্নয়ন অভিযাত্রায় ব্যবচ্ছেদ তৈরি হতেও দেরি হতো না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকেই নানা সমালোচনা করলেও কার্যত সেগুলো সেভাবে প্রমাণ করা যায়নি। তবে স্বাধীনতার পক্ষের দলটি সিংহভাগ আসন পেলেও বহু শক্ত প্রার্থী হেরে যাওয়ার অবস্থাও নির্বাচনকে যথার্থ জায়গায় নিয়ে যায়। নানা সমালোচনা পাশ কাটিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার চিত্রও স্বস্তিদায়ক। নির্বাচন কমিশন তো বটেই, আগত কিছু বিদেশী পর্যবেক্ষক ইতিবাচক মত সাংবাদিকদের জানান। নির্বাচন যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী সরকার গঠনও সম্পন্ন হয়েছে। এখন দেশ পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের সামনে বহু চ্যালেঞ্জ।
আশা করি প্রধানমন্ত্রী তাঁর যথার্থ দেশ পরিচালনায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যেতে আর পেছন ফিরে তাকাবেন না। সম্মুখ পথের অবাঞ্ছিত জঞ্জাল সরাতেও দ্বিধা করবেন না। ১০ জানুয়ারি ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তেমন শুভদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দীর বিশাল জনসভায় নির্বাচনোত্তর বক্তৃতায় আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভয়-ভীতি, অগ্নিসন্ত্রাসকে দর্পভরে উপেক্ষা করে যে মাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর দুরন্ত অভিগমন সেটা আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন নতুন সরকারপ্রধান।

সামনের চলার পথকে নির্বিঘ্ন-নিষ্কণ্টক করতে যা যা প্রয়োজন সবটাই করার অঙ্গীকারে অবিচল থাকলেন পঞ্চমবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণই সব শক্তি আর ক্ষমতার উৎস চিরায়ত এমন আদর্শিক বাণীকে সামনে নিয়ে নিজের অদম্য ইচ্ছাও পুনর্ব্যক্ত করলেন। ঐতিহাসিক এই উদ্যানে পিতাকে স্মরণ করাও এক অনন্য স্বাজাত্য আর দেশাত্মবোধ চেতনা। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে নানামাত্রিক বৈপরীত্যে দুঃসময় কাটাতে হয়েছে জাতিকে। হরেক অপরাধপ্রবণতায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলেও নির্বাচনকে বানচাল কিংবা থামানো কোনো অপশক্তির পক্ষে সম্ভব হয়নি। অপরাজনীতি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল ডেকে আনে না।

বরং আইনি-বিধি মোতাবেক সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠান করাও অতি আবশ্যক ছিল। নির্বাচনের দিনে তেমন কোনো অপকৌশল কিংবা নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান না হওয়াও পরিস্থিতির চাহিদা ছিল। তবে দেশ ও জনগণের প্রত্যাশিত আকাক্সক্ষাÑ নতুন সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাবে। জনগণের কল্যাণে সব কর্মপরিকল্পনা অবারিত করে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রাকে অর্জন করতে সামনের দিকে ধাবিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে যেভাবে নির্বাচনী প্রত্যয়কে বাস্তবে রূপ দিয়ে গেছেন ভবিষ্যতেও এর ব্যত্যয় নিশ্চয়ই হবে না।
বাংলাদেশের  উন্নয়ন কাঠামোই শুধু নয়, বরং জনগোষ্ঠীর জীবনমান সমৃদ্ধ হওয়ার চিত্রও এখন দৃশ্যমান। বিশেষ করে সমসংখ্যক নারীদের জন্য তাঁর দূরদর্শী আর অভাবনীয় কর্মপরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টরা নতুন পথের সন্ধান পেতে সময় লাগেনি। সত্যিই নতুন পথ। এক সময়ের গৃহলক্ষ্মী নারীরা সীমাবব্ধ পারিবারিক আঙ্গিনা থেকে বৃহত্তর সমাজ সংস্কারের পথে ধাবিত হলেও যাত্রাপথ সেভাবে অবারিত হয়নি। প্রথম দিকে পেশা হিসেবে শিক্ষকতাই নারীদের সম্পৃক্ততা দৃশ্যমান হয়েছে নজরকাড়া।

গত শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি চরম অনীহা যেন সমাজ-সংস্কারের দমন-পীড়ন। অর্থাৎ উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের পশ্চাদপসরণ পরিস্থিতির বিপন্নতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন সে সময় তাঁর বহু নারীবান্ধব কর্মযোগ চমক দেওয়ার মতোই। ২০১১ সালে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ নামে যে মহাপ্রকল্পের যাত্রা শুরু করলেন সেখান থেকে নারী সমাজের পেশার বৈচিত্র্যই শুধু নয়, বাণিজ্যিক কর্মযোগেও তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় নতুন জগতের দ্বার উন্মোচন করে দিল।

বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা আজ আর হাতেগোনার অবস্থায় নেই। শুধু নগর-বন্দর, শহরেই নয়, বরং গ্রামেগঞ্জে হতদরিদ্র নারীরাও সুদমুক্ত ও স্বল্প ঋণে উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ হাতের কাছে পেয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য স্বপ্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন। পিঠে, পুলি, ঘরোয়া রান্নার পসরা সাজিয়ে গ্রামীণ মেয়েরা নিজেদের কর্মসংস্থানে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। আর নারী শিক্ষা? কতখানি সময়ের দাবি মেটাচ্ছে তা তথ্য-উপাত্তে উঠে আসাও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের অনন্য চিত্র।

সর্বশেষ - সকল নিউজ