মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. আজহার আলী শিকদারকে (৬৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। গতকাল রোববার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২২ মে) সকালে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. আজহার আলী শিকদারসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ৭টি ঘটনার মধ্যে ২ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা, ৪০/৫০ বাড়ির মালামাল লুণ্ঠনের পর আগুনে পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা, ২ জনকে অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর আহত এবং ৪ নারীকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায় সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আজহার শিকদারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মো. আজহার আলী শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :