নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার কথা বলেছিলো জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এরপর বিএনপি থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেও মুহূর্তেই তা মোমের প্রদীপের মতো নিভে যায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভের ডাক দিলেও তা নিয়ে তৃণমূলের নির্বিকার অবস্থা দেখে হতাশায় পড়েছে বিএনপি।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সে অনুযায়ী, শনিবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কথা থাকলেও তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি নেতাকর্মীদের। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরুত্তাপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির অভ্যন্তরে বিরাজমান হতাশা আরও তীব্রভাবে জেঁকে বসেছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের কর্মীরা আন্দোলন-কর্মসূচির মনোভাবে কঠোর থাকলেও সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। যখন তাদের উদ্বেলতা ঝিমিয়ে পড়েছে, অনাস্থা তৈরি হয়েছে- তখন কেন্দ্র আন্দোলন-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় কিভাবে তীব্র কর্মসূচি আশা করে কেন্দ্র?
এরআগে বিএনপি গত ৩০ জানুয়ারি কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ততার অভাবে অংশগ্রহণ না করায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন মির্জা ফখরুলরা। এরকম বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির কথা ভেবেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছে না।
এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মূলত নিরাপদ স্থান বেছে বেছে সবাই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। কথায় আছে- সময় গেলে সাধন হবে না। যখন তৃণমূলের দাবি ছিলো আন্দোলনের, তখন নেতারা চুপ ছিলো। এখন নেতারা আন্দোলন চায় কিন্তু চুপ করে আছে তৃণমূল। এই সমন্বয়হীনতা বিএনপিকে নিঃশেষ করেছে। এছাড়া নেতারা বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত। তারা নিজেদের সংসারের কথা ভাববে নাকি দলের কথা ভাববে। মোট কথা সময়কে কাজে লাগাতে না পারলে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামই সফল হয় না। বরং বিপদ বাড়ে!