logo
Sunday , 18 February 2024
  1. সকল নিউজ

বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
admin
February 18, 2024 9:39 am

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দেশকে কেউ যেন পেছনের দিকে ঠেলে দিতে ও রাজাকারের দেশে পরিণত করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
শুক্রবার রাতে জার্মানির মিউনিখে বাংলাদেশি প্রবাসী আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিং-এ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফল সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না।

তিনি বলেন, আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি দেশ ও জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি। তিনি আরো বলেন, আমার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছে।

আাওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতাসহ সব কিছু পেয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারীর মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।

জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখনই সুযোগ পাই জনগণের কল্যাণে কাজ করি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কারণ, তারা প্রয়োজনে দলকে সবসময় পাশে পায়।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, তৃণমূলেও অগ্রগতি করা।

বিএনপিকে লুটেরাদের দল আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দল জনগণের কল্যাণে কিছুই করে না, বরং নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলে।

বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারণে পরাজয়ের ভয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি কারণ তারা জানে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।

তিনি আরো বলেন, একজন সামরিক স্বৈরশাসকের দ্বারা গঠিত দলটি সবসময় এজেন্সিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের সাহায্য ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না।

বিএনপিকে হ্যাঁ/না ভোট এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। তবে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সবচেয়ে অবাধ, সুুষ্ঠু ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গত সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীরা অবাধে ভোট দিয়েছে।

তিনি বলেন, এবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না বসালে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যেত। লুটেরা (বিএনপি) সব লুট করে নিতো।

শেখ হাসিনা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে উল্লেখ করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে বলেন, যাতে তারা নিজেদের, দেশ ও মানুষের সেবা করতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি এবং যার জন্য আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করেছে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ।

সর্বশেষ - সকল নিউজ