logo
Tuesday , 6 February 2024
  1. সকল নিউজ

এতিমের টাকা যেভাবে মেরে খেয়েছিলো খালেদা ও তারেক রহমান

প্রতিবেদক
admin
February 6, 2024 9:26 am

মৃত স্বামীর নামে ‘এতিম তহবিল’ খুলে সৌদি দাতার পাঠানো ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার ইউএস ডলার লোপাট করেছিলো মা খালেদা জিয়া ও পুত্র তারেক রহমান। যা প্রমাণিত হয় মহামান্য আদালতে ।

সেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯১-৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। যার চলতি হিসাব নম্বর ৫৪১৬। ওই অ্যাকাউন্টে ১৯৯১ সালের ৯ জুন এক সৌদি দাতার পাঠানো ইউনাইটেড সৌদি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ডিডি নম্বর ১৫৩৩৬৭৯৭০ মূলে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ইউএস ডলার যার মূল্য তৎকালীন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা অনুদান হিসেবে জমা হয়।

১৯৯১ সালের ৯ জুন থেকে ১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খালেদা জিয়া সোনালী ব্যাংকের ওই অ্যাকাউন্টে জমাকৃত এ অর্থ কোনো এতিমখানায় দান করেননি। এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমান তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। তবে এ ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়ায় আরাফাত রহমান কোকোর কোন স্বাক্ষর না থাকায় তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।

১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলশান সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নাম নিবন্ধন করা হয়। যার ঠিকানা হিসেবে সেনানিবাসের ৩ শহীদ মঈনুল রোডের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। এ সময় তারেক রহমানকে দি অথর বা দি সেটেলর অব দি ট্রাস্ট (ট্রাস্ট সৃষ্টিকারী) নিয়োগ করা হয় এবং মমিনুর রহমান এ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হন।

১৯৯৩ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখার তৎকালীন হিসাব নম্বর ৫৪১৬ এ জমা থাকা অনুদানের মধ্যে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের একই ব্যাংকের গুলশানের নিউনর্থ সার্কেল শাখার এসটিডি হিসাব নম্বর-৭ মূলে হিসাব নম্বর ৭১০৫৪১৬৪ এ ট্রান্সফার করা হয়।

১৯৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর (চেক নম্বর ৪৮৮২৪০১) ৪ লাখ টাকা তুলে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার দাড়াইল মৌজায় ১৭টি দলিল মূলে ২ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় দেখানো হয়। এরপর ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অনুদানের বাকি টাকা অন্য কোনো স্থাপনা বা দুস্থদের কল্যাণে ব্যয় না করায় ওই হিসাবে ২০০৬ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ জমা পড়ে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫৭ টাকা।

তারেক রহমান এবং স্ট্রাস্টি মমিনুর রহমানের যৌথ স্বাক্ষরে ২০০৬ সালের ১২ এপ্রিল, ১৫ জুন এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে সর্বমোট ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখায় এফডিআর খোলার জন্য হস্তান্তর করা হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ৫০ লাখ টাকা কাজী সলিমুল হকের নামে ২০০৬ সালের ১২ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হয়। এই শাখায় কাজী সলিমুল হকের নামে পরবর্তীতে ২ কোটি টাকার আরো দু’টি এফডিআর খোলা হয়। যা তিনি নিজ নামেই ট্রান্সফার করেন। এছাড়া ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ছেলে সৈয়দ আহমেদের নামে একটি ১ কোটি টাকা এবং দু’জনের যৌথ নামে আরেকটি ১ কোটি টাকার এফডিআর খোলেন কাজী সলিমুল হক। তাদের মধ্যে সৈয়দ আহমেদ এখন মৃত।

এই দুই এফডিআর থেকে গিয়াস উদ্দিন আহমেদের এফডিআরে ট্রান্সফার হয়। এর কিছুদিন পরই গিয়াস উদ্দিন আহমেদ তার এফডিআরের এক কোটি টাকা ভেঙ্গে ৫০ লাখ টাকার ২টি এফডিআর করেন। এরপর আবার সেই এফডিআর ভেঙ্গে শরফুদ্দিনের অ্যাকাউন্টে ৬টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করেন। ট্রাস্টের কাজে শরফুদ্দিন আহমেদ ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা তুলে নেন।

আর এই ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগেই দায়ের করা হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা অনুদানের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। অন্য দু’জন হচ্ছেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। তারেক রহমান জামিনে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। বাকি দু’জন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

শীতের পাখির মতো বিএনপি নেতাদের থেকে সাবধান: তথ্যমন্ত্রী

এনজিও ও বিদেশি চাপে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে বিলম্ব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা, আটক ২

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান : নতুন শর্তে বেড়েছে বিদেশিদের আগ্রহ

বিএনপি নাশকতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ: তথ্যমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনারকলি ওএসডি, মামলা দায়ের

অবশেষে চাকরি গেল ডিআইজি মিজানের

স্বাভাবিক হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার

বুঝে-শুনে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী