logo
Friday , 12 January 2024
  1. সকল নিউজ

অভিজ্ঞদের সঙ্গে দক্ষ তরুণদের প্রাধান্য, লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
admin
January 12, 2024 2:08 pm

নবগঠিত মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞদের পাশাপাশি দক্ষ তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নবীন-প্রবীণের মিশেলে মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য রাখা হয়েছে। সরকারের সামনে দেশে-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুরনোদের অভিজ্ঞতা ও নতুনদের উদ্যমকে কাজে লাগানো হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এমনটা জানিয়েছে।

 

দলের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবেন এমন মন্ত্রিসভা গঠনে প্রাধান্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করা। বিষয়টি মাথায় রেখে বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

 

অর্থনীতিতে পড়াশোনা করা আবুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবেও চাকরি করেছেন।
এরপর বড় চ্যালেঞ্জ হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়, বিশেষ করে পরাশক্তিগুলো যেন সরকারকে সহযোগিতা করে সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সে বিবেচনায় বিদায়ি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দুজনকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিগত সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে।

 

হাছান মাহমুদ একসময়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বেশ কয়েকজনকে যুক্ত করা হয়েছে বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সমীকরণ থেকে। একই জেলা বা বিভাগে যেন বারবার একাধিক মন্ত্রী না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ধরনের ভারসাম্য রক্ষার হিসাব থেকেও কয়েকজন বাদ পড়েছেন। পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি দীর্ঘ বছর মন্ত্রী বঞ্চিত ছিল।

 

এবার খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। সিলেট বিভাগ থেকে দুজন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবারের মন্ত্রিসভায় সিলেট বিভাগ থেকে একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা জানান, মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর চার নেতাকে এবার মন্ত্রিসভায় যুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দলের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই নেতাদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে মন্ত্রিসভায় কাজে লাগাতে চান প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া সভাপতিমণ্ডলীর চার সদস্য হলেন মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও সিমিন হোসেন রিমি। তাঁদের মধ্যে সিমিন হোসেন রিমি প্রতিমন্ত্রী এবং অন্য তিনজন মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এই দুই নেতা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নানা দায়িত্ব পালন করছেন।

ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা এই দুই নেতার সাংগঠনিক দক্ষতাকে মন্ত্রিসভায়ও কাজে লাগাতে চায় আওয়ামী লীগ। মুহাম্মদ ফারুক খান ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন। অভিজ্ঞ এই নেতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে।

পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য দেশে-বিদেশে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে সাবের হোসেন চৌধুরীর। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে এলজিআরডি ও নৌ পরিবহন উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। পরিবেশসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিশেষ পরিচিত। এই নেতাকে এবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় এ মন্ত্রণালয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করতে সৎ ও দক্ষ হিসেবে ডা. সামন্ত লাল সেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকেও এবার মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে। অভিজ্ঞ এই সংসদ সদস্যকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁর কর্মদক্ষতার পুরস্কার হিসেবে তাঁকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ