কাঁচামাল আমদানি বা প্রস্তুতকৃত পণ্য রপ্তানিতে বন্দরে আর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হবে না বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর নতুন এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গেল সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প, স্বীকৃত রপ্তানিকারক বা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কাঁচামাল আমদানি বা প্রস্তুতকৃত পণ্য রপ্তানির জন্য বন্দর সেবা গ্রহণের ওপর ভ্যাট থেকে অব্যাহতি পাবে।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ জুন এনবিআর বন্দরের সকল সেবায় শতভাগ ভ্যাট মওকুফ করেছিল। তবে ২০২২ সালের অর্থ আইনে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়। গেল বছরের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এক চিঠিতে জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে সকল আমদানি ও রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করবে। এই চার্জে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হওয়ায় প্রতি টিইইউ (টুয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কনটেইনারে ১ হাজার টাকার বেশি বাড়তি ব্যয় যোগ হয় বলে জানিয়েছেন গার্মেন্ট মালিকরা। বন্দরে কনটেইনারের স্টোর রেন্ট, আনস্টাফিং চার্জ ও রিভার ডিউজ খাতের চার্জের ওপর এই ভ্যাট আদায় করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, গেল বছরের অক্টোবরে ভ্যাট আদায় বন্ধের অনুরোধ করে বিজিএমইএ। সেটি পর্যালোচনা করেই রপ্তানিমুখী শিল্পকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ভ্যাট অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।