দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার জন্য করছে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। তবে প্রতিটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় এবার সারা দেশে হরতাল অবরোধের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি প্রান্তে লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারেক রহমান থেকে অগ্রিম ৭ কোটি টাকা নিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।
তারেক রহমানের থেকে নেয়া টাকা দিয়ে ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জনের একটি টিম মাঠে নামে। মুখে মুখে নিজেদের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বললেও সব মিলে ১৩ জনের বেশি কাউকে রাস্তায় টানতে পারেনি বিএনপি। এ সংখ্যা কমে গিয়ে ৭ এ দাঁড়ায় ২১ ডিসেম্বর। রিজভীর সঙ্গে ৭ জন বিএনপির কর্মী মিলে তড়িঘড়ি করে ঢাকার রাস্তায় ভিডিও করতে করতে লিফলেট প্রদান করেন। যা দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো, কাউকে দেখানোর জন্য এমন ভিডিও করছিলেন রিজভী।
আর এ বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরেছেন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত লণ্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বুঝতে পেরেছেন, রিজভীর এমন দেখানো মিছিলে টাকা খাওয়ার ফন্দি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। আর এ কারণে ৭ কোটি টাকা সুদসহ ফেরত চেয়েছেন তারেক রহমান।
লণ্ডন বিএনপির সূত্র জানায়, বিএনপির অনেক নেতাই আন্দোলনের নামে তারেক রহমানের থেকে অযথা টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করার চেষ্টা করছে। অনেক পরে হলেও তারেক রহমান তা বুঝতে পেরেছেন।
সম্প্রতি রিজভীর দেয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৭ কোটি টাকা নেয়ার পর ৭ জনকে দিয়ে রাস্তায় লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। যা প্রমাণ করে রাজপথে কোনো কাজ করেন নি তিনি। আর এ কারণে টাকা ফেরত চেয়েছেন তারেক রহমান। নয়াপল্টন বিএনপি বলছে, তারেক রহমানের এমন হুঙ্কারের পর থেকে রুহুল কবির রিজভী আর কার্যালয়ে আসছেন না।
জানা যায়, তারেক রহমান থেকে ৭ কোটি টাকা নিয়ে কি করেছেন? কেনো করেছেন? এর কোনো হদিস নেই রুহুল কবির রিজভীর কাছে। অনেকে বলছেন, এই ৭ কোটি টাকা নিয়ে হয়তো সিঙ্গাপুর ঘুরতে চলে গেছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা রুহুল কবির রিজভী।