সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে জনসমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়াপল্টনে আসেন বিএনপির কর্মীরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে মতিঝিলের বিভিন্ন হোটেলে খেয়ে বিল না দিয়ে পালিয়েছে বিএনপির কিছু কর্মী।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। লোকবল সেভাবে না আসলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন বিভিন্ন মোড়ে। পালাক্রমে একেকটি দল সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যায় মতিঝিলের দিকে। সেখানে একসাথে খাবার অর্ডার করে পেটপুরে খেয়ে চলে আসে তারা। ম্যানেজার ও ওয়েটার বিল চাইতেই তেড়ে যায় একেকজন কর্মী। এমনকি একজন পকেটে থাকা বন্দুকও দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন হলো- নয়াপল্টন এলাকা ছেড়ে কেন মতিঝিলে খেতে গেলেন বিএনপির কর্মীরা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নয়াপল্টনে যেসব হোটেল ও খাবারের ঝুপড়িগুলো ছিল তা বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আর বিএনপির কর্মসূচির দিনে তারা ভয়ে কেউই রেস্টুরেন্ট খোলেন না। তাই মতিঝিলের দিকেই যায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
মতিঝিলের ঘরোয়া ও হাতিরঝিল হোটেলের ম্যানেজার জানান, লাঞ্চ টাইমে হঠাৎ দলবেঁধে কয়েকটি টিম আসে খেতে। বেশ গলাবাজি করে খাবার চায়, আমরাও খাবার দিই। কিন্তু খাওয়া শেষে একে একে সবাই বেরিয়ে যায় টাকা না দিয়েই। বিলের কথা বলতেই তেড়ে আসে। পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আমরাও কিছু বলিনি।
এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে-চলবে। কর্মসূচিতে এসে অনেকেই ক্লান্ত হচ্ছেন, ক্ষুধার্ত হচ্ছেন, সবাইকে খাওয়াতে পারছি না আমরা। তাই বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। ক্ষমতায় এলে সবার বিল শোধ করা হবে।