তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা জানতে চায়, আমাদের নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ করার জন্য আমরা কি কি ব্যবস্থা নিয়েছি। কার্যক্রমগুলো জানতে চায়। ওই কার্যক্রমের মাধ্যমেই তারা বুঝতে চায় আসলে একটি ভালো নির্বাচন করার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো আমরা নিয়েছি কিনা। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছি না।
নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোট যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারি, ভোটাররা যাতে অবাধে ভোট দিতে পারেন।
বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক যদি নির্বাচনে না আসতে চেষ্টা করে, সেটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। সে না আসতেই পারে। সে বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নাই। নির্বাচন কমিশনের তো নাই-ই। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃংখলা বাহিনি নিয়োজিত রয়েছে। ভোটের দিনও থাকবে। নির্বাচনের বিপক্ষে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে যারা, বিষয়টি আইন শৃংখলা বাহিনি দেখবে। যারা অন্যায় কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে।
ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহে কড়াকড়ি করলে সাংবাদিকরাই তো বিরক্ত হন। আমরা এবার কড়াকড়ি করিনি। বরং সাংবাদিকদে জন্য আরো শিথিল করে দিয়েছি। যারা প্রকৃত সাংবাদিক তারাই শুধু পর্যবেক্ষক কার্ড পাবেন। প্রকৃত সাংবাদিকরাই মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। সেই মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কেন্দ্র থেকে লাইভ প্রচার করতে চান। রেকর্ড করতে চান। কারো সাক্ষাতকার নিতে চান, পারবেন। কিন্তু ভোট কক্ষের ভেতরে এসব করা যাবে না। কক্ষের ভেতরে ছবি তুলতে পারবেন। কিন্তু লাইভ প্রচার করতে পারবেন না। কক্ষের ভেতরে ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করা যাবে না। এতে ভোট প্রদানের গতি কমে যায়।’