ইউনূসকে নিয়ে বিশ্ব নেতাদের করা বিবৃতির জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী


admin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০২৩, ৩:৩৫ অপরাহ্ন | 563
ইউনূসকে নিয়ে বিশ্ব নেতাদের করা বিবৃতির জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন অনুযায়ী চলবে।গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মূলত ভিক্ষুক সুদখোর মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বে বিপুল সম্পদের মালিক। সম্প্রতি ঘুসের বিনিময়ে ১৬০ তথাকথিত বিশ্ব নেতাদের দিয়ে নিজের পক্ষে বিবৃতি পেশ করেন ড. ইউনূস।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না। সব কিছুই আইনমতো চলছে।

কেউ যদি ট্যাক্স (কর) না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়। আমাদের কী সেই হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেব? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, বিশ্বের অন্তত ৯টি ব্যাংকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৫ লাখ ডলার পাওয়া গেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।

ড. ইউনূসের যেসব দেশে অ্যাকাউন্ট রয়েছে; তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেপি মরগান চেস ব্যাংকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অ্যাকাউন্ট আছে ১৯৯৭ সাল থেকে। ব্যাংক অব আমেরিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অ্যাকাউন্টের খবর পাওয়া যায় ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সিটিব্যাংক এনএ’তে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছিলেন ২০০৪ সালে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এইচএসবিসি’তে তিনি ২০০৬ সালে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছিলেন। নোবেল শান্তি পুরস্কারের অর্থ এ চারটি ব্যাংকে রাখা হয়েছিল।

এছাড়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে উপার্জিত অর্থ এখানে রয়েছে। এ ব্যাংকগুলোর মধ্যে জেপি মরগান চেস ব্যাংক থেকে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনের তহবিলের জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকম প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। গ্রামীণ টেলিকমের এক হিসাবের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ড. ইউনূস এখানে স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ ইউনূস সেন্টারে স্থানান্তর করেছেন। ইউনূস সেন্টার থেকে আবার সেই অর্থ আরেক জায়গায় স্থানান্তর করেছেন তিনি। বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক ড. ইউনূস কীভাবে হলেন, সেটি তদন্তের দাবি রাখে বলে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন রাখেন।