logo
Sunday , 24 September 2023
  1. সকল নিউজ

যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার নীতি বন্ধ করুন : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
admin
September 24, 2023 9:27 am

বিশ্বকে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার নীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে গতকাল তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই- বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে। বাংলাদেশের সংবিধান সবার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭তম বার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় এবং সেখানে তারা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে আগ্রহী। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গত মাসে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ পরিস্থিতি সম্ভাব্য মৌলবাদকে ইন্ধন দিতে পারে। এ অবস্থা চলমান থাকলে এটি আমাদের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের পাশে সর্বদা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার অর্জনের পথ এখনো আশার মুখ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর ফিলিস্তিনের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসা ‘নাকবা’র ৭৫ বছর পূর্ণ হলো। ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বিগত কয়েক বছরের আন্তসংযুক্ত সংকটগুলোর কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি এবং পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আমদানি বিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের ১ কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আমাদের জনগণকে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে এবং কোনো জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতাসহ বিরূপ আবহাওয়া উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন।

২০২২ সালে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ গঠন এবং এর মাধ্যমে বৈশ্বিক খাদ্য, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে বিভিন্নমুখী সমাধান প্রদানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য রপ্তানি এবং সরবরাহশৃঙ্খলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপের অন্যতম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমি সব সময়ই জোর দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সরকার চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছে। আমরা কখনই সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম সংঘটনে বা অন্যের ক্ষতিসাধনে আমাদের ভূমি ব্যবহৃত হতে দিই না।

সাম্প্রতিককালে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর মতো ঘটনাকে জঘন্য অপরাধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের জঘন্য অপরাধ শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকেই আঘাত করে না, এটি অস্থিরতা উসকে দেয় এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সাস্প্রদায়িক সস্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করে।

‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ অকার্যকর হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের লক্ষ্যে হিমাগার নির্মাণের জন্য আমাদের বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমি জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক ‘খাদ্যব্যাংক’ চালু করার প্রস্তাব করছি। আমাদের অবশ্যই জলবায়ু-সহনশীল ফসলের গবেষণায় একে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটগুলো আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তবু উন্নয়ন সহযোগী এবং উন্নত দেশগুলোকে আমাদের এ যাত্রায় তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি; যা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের জন্য সহায়ক হবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিশেষ সুবিধাগুলো আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যাপ্তিকাল মোতাবেক প্রদান করার জন্য আমি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি জাতিসংঘ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের দোহা কর্মসূচির সম্পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।

বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ০.৪৭%-এর কম অবদান রাখলেও বাংলাদেশ জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু অভিযোজনের জন্য ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে এ তহবিলে এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছি।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদী ক্ষয়, বন্যা ও খরার কারণে জলবায়ু-অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে উচ্চাভিলাষী ‘এনডিসিসি’ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা বিবেচনা করতে হবে। আমরা ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তহবিলের জরুরি বাস্তবায়ন চাই।

তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমনের লক্ষ্যে সমুদ্র উপকূলে বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, গ্রিন বেল্ট এবং বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। আমরা কক্সবাজারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সেখানে ৪ হাজার ৪০৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের সুযোগসুবিধাসহ ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। এর লক্ষ্য হলো সমন্বিত বদ্বীপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহনশীল এবং সমৃদ্ধ ডেল্টা অর্জন। সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে। আমরা ধীরে ধীরে একটি জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে জলবায়ু-সহনশীল দেশে পরিণত হতে কাজ করছি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা তাঁদের পেশাগত দক্ষতা এবং কাজের জন্য সমাদৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অদ্যাবধি ১ লাখ ৮৮ হাজার বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ ৪০টি দেশে ৫৫টি শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছি। জাতিসংঘের প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের কার্যক্রম আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি।

এ বছর সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করে ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং এর আওতাধীন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যগুলো অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’। প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিপাদ্যকে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও জটিলতার প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এর ফলে একটি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্জিত সাফল্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর চার প্রস্তাব : রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে। সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ইভেন্টে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, ‘আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।’ তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর পর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি।

সর্বশেষ - সকল নিউজ