বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ এবং বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
এক সময় মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ কী তাই বুঝতেন না, সবাই ঠাট্টা করতেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। সবাই তার সুবিধা ভোগ করছেন। তাই এনিয়ে কেউ আর এখন ঠাট্টা করে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে রয়েছে।
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশের যে পরিবর্তন হয়েছে প্রত্যেকটাই বিজ্ঞানের পথ ধরে। অর্থাৎ বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের জীবনের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিটাল এ বাংলাদেশেরও যাত্রা শুরু হয়েছিল যা অত্যন্ত গর্বের।
তিনি বলেন, ঢাকার পরে বিভাগীয় শহরে এটিই প্রথম নভোথিয়েটার। রাজশাহী একটি শিক্ষানগরী এবং প্রকৃষ্ট জায়গা বলেই ঢাকার বাইরে আমরা রাজশাহীকে নভোথিয়েটার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করেছি। এখানে নভোথিয়েটার অত্যন্ত প্রয়োজন- এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কোনো ব্যবসার জায়গা নয়। নভোথিয়েটারের দায়িত্ব কোনো ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে না। সার্বিক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা। শিক্ষার জন্য যদি ব্যয় করেন তবে ফেরত পাবেন অনেক বেশি। নভোথিয়েটারের মূল লক্ষ্য হলো আধুনিক মানুষ তৈরি করা। নভোথিয়েটার রাজশাহীর সম্পদ- এটা রক্ষণাবেক্ষণ আপনাদের দায়িত্ব।
রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের অবদান অনেক বেশি বলেও এ সময় উল্লেখ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, নভোথিয়েটার ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।