logo
Wednesday , 16 August 2023
  1. সকল নিউজ

বিএনপি ও জামায়াত আমল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনামল

প্রতিবেদক
admin
August 16, 2023 9:38 am

চুরি ছাড়া দলের জীবদ্দশায় আর কিছুই করেনি তারা। চুরির মাধ্যমে ১৯৯১ আর ২০০১ এ ক্ষমতায় আসা। ক্ষমতায় এসেই রাষ্ট্রীয় লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত সরকার। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে দুর্নীতি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সকল সেক্টর বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্বাস্থ্যখাত। দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে স্বাস্থ্যখাত জনগণের গলার কাঁটায় পরিণত হয়।

তথ্যসূত্র বলছে, ২০০১-০৬ শাসনামলে তারেক রহমানের মতো বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে মেতে উঠেছিল। জনসেবার নামে নিজেদের পকেট ভরতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তারা। দুর্নীতির কারণে সে সময় বাংলাদেশ পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন লুটপাট, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ে জড়িয়ে পড়ে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যুক্তরাজ্যের ব্যাংকে নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের নামে আট লাখ চার হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন খন্দকার মোশাররফ। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকার সমপরিমাণ। অবৈধ টাকার বৈধতা অর্জনে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন সরবরাহের বাণিজ্যে কমিশন খেয়ে, অদক্ষ ও দলীয় ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে সরকারের সেবাখাতে সীমাহীন দুর্নীতি করেন খন্দকার মোশাররফ।

এছাড়া নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন খন্দকার মোশাররফ। দেশের স্বাস্থ্যখাতকে বিকলাঙ্গ করে ফেলেন তিনি। চিকিৎসকদের বদলি, পদোন্নতি, সরকারি চাকরি দেওয়া, বড় বড় টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দেওয়া, দলীয় কমিটি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন তিনি। অবৈধভাবে অর্জন করা টাকা লুকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য তারেক রহমানকে বিশেষ কমিশন দিয়ে লন্ডনে পাঠান তিনি।

২০০৮ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত ১২ কোটি টাকা ও প্রায় ৩ কোটি টাকার তথ্য গোপনের দায়ে মামলা দায়ের করে দুদক। মন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অর্থ-সম্পত্তির মালিক হন তিনি। তার এই আয়ের উৎস সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। সরকার ও জনগণের পয়সা চুরি করে নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দুদকের গোপন তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচারের কারণে বিএনপির শাসনামলে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে স্বাস্থ্যখাত।

সর্বশেষ - সকল নিউজ