জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা বাবদ ১২ কোটি টাকা দানকর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতেই হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ড. ইউনূসের পক্ষে করা সময় আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের পরই দানকরের ১২ কোটি দেওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু এ টাকা দেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া সম্মতি দেননি বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১-২০১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ড. ইউনূস তিনটি ট্রাস্টকে ৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দান করেন। অনুদানকৃত অর্থের ওপর ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। পরে, এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস।
সূত্র বলছে, কাগজে কলমে তিন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দান দেখিয়ে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামায়াতকে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন ড. ইউনুস। বিএনপিকে উপকার করে এখন ফেঁসে গেছেন তিনি। এছাড়াও সময় অসময়ে বিএনপিকে আর্থিক সহায়তা করেন ড. ইউনুস। আর সর্বশেষ বিএনপির মার্কিন লবিস্টদের পাওনা ৯ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি।
এখন আপলি বিভাগ ড. ইউনুসের আবেদন খারিজ করে দানকরে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন। তাই ড. ইউনুস খালেদা জিয়ার কাছে পাওনা টাকা চেয়েছেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, এনবিআরের ১৫ কোটি টাকার মধ্যে ড. ইউনূস ইতোমধ্যে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন। এখন তাকে আরও ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :