logo
Monday , 12 June 2023
  1. সকল নিউজ

২৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে চীনা জাহাজ রামপালে

প্রতিবেদক
admin
June 12, 2023 9:17 am

দেশে বিদ্যুতের চরম লোডশেডিংয়ের মধ্যে কয়লা সংকটের কারণে পায়রা ও বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে গেলেও উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বাগেরহাটের রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আগামী এক মাসের কয়লা মজুদের মধ্যে এই মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটার অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি জে হ্যায়’।

ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি গতকাল ভোর ৫টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর বয়ায় নোঙর করে। কয়লাবাহী এমভি জে হ্যায় জাহাজের শিপিং এজেন্ট দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, আমদানিকৃত রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায় জাহাজটি গত ২১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসার ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি গতকাল ভোর ৫টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে।

জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই এ জাহাজটির আউটার অ্যাংকোরেজ থেকে লাইটার জাহাজে কয়লা খালাস কাজ শুরু হয়েছে। চীনের এ জাহাজটি থেকে খালাসকৃত এ কয়লা লাইটার জাহাজে (নৌযান-কার্গো/কোস্টার) করে নেওয়া হচ্ছে তাপ রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে। তারপর এসব কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কোল সেডে মজুদ রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কয়লা সংকটের কারণে দেশের দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পটুয়াখালীর পায়রা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের পর দেশে চরম বিদ্যুৎ লোডশেডিং শুরু হয়। এ দুঃসংবাদের মধ্যেও আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছে কয়লাভিত্তিক রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দুটি ইউনিটের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি এ বছরের জুনে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবে এর আগে ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটের কারণে এক মাস বন্ধ ছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। দ্বিতীয়বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি ১৫ এপ্রিল রাত থেকে ২৩ দিন বন্ধ থাকে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ