প্রতিটি ট্রেনে দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন কোচ থাকবে। তাই ওই দুই কোচে যাত্রীর ধারণক্ষমতা মাঝের চার কোচের তুলনায় কম। প্রতিটি ট্রেনে ইঞ্জিনসহ মোট কোচ থাকবে ছয়টি। সেই হিসেবে ১৪৪টি কোচের সবগুলোই এখন ঢাকায়।
প্রতিটি ট্রেনে দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন কোচ থাকবে। তাই ওই দুই কোচে যাত্রীর ধারণক্ষমতা মাঝের চার কোচের তুলনায় কম। প্রতিটি ট্রেনে ইঞ্জিনসহ মোট কোচ থাকবে ছয়টি। সেই হিসেবে ১৪৪টি কোচের সবগুলোই এখন ঢাকায়।
প্রকল্পের নথির তথ্য বলছে, প্রকল্পের আট নম্বরের প্যাকেজের অধীন রেল কোচ ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই প্যাকেজের বাস্তব কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। ২৪তম ট্রেন সেট জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাহাজযোগে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্যাকেজের বাস্তব অগ্রগতি ৮৫.৯২ শতাংশ।
মেট্রো রেল সূত্র জানায়, দেশের প্রথম নগর ট্রেনে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। তবে প্রাথমিকভাবে ১০ সেট ট্রেন দিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার পথে মেট্রো রেলের চলাচল শুরু হয়েছে। পুরো পথ চালু হলে নিয়মিত ২০ সেট ট্রেন চলবে। আর চার সেট ট্রেন বিকল্প হিসেবে সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
প্রথম দিন থেকে গত বুধবার পর্যন্ত মেট্রো রেল চালিয়ে আয় হয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার। খরচ হয়েছে সাত কোটি ৩৩ লাখ টাকার মতো। খরচের বেশির ভাগ গেছে বিদ্যুৎ খাতে। সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ, বেতন ও অন্যান্য খরচ রয়েছে।
৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয় সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার চালু করা হয়। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :