নিউজ ডেস্ক: ভাস্কর্য ও মূর্তির পার্থক্য না বুঝেই বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতেছে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে তারা ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের এই ষড়যন্ত্র বিফলে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ হেফাজতের এই আন্দোলনে গোপনে সম্পৃক্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। নির্বুদ্ধিতা ও বিএনপি-জামায়াতের অতি চালাকির কারণে হেফাজতের এই আন্দোলনের প্রচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভাস্কর্য ও মূর্তির পার্থক্য বুঝতে হলে লেখাপড়ার দরকার। যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছেন তাদের এই সম্পর্কে জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মাওলানা মামুনুল হক ও অন্যান্যরা ভাস্কর্যে বিষয়টি গুলিয়ে ফেলে রাজনীতির মাঠ গরম করে সরকারের কাছ থেকে অনৈতিক কিছু আদায়ের ষড়যন্ত্র করছেন। এই দেশে ভাস্কর্য নির্মাণ নতুন কোনো বিষয় নয়। বিভিন্ন সরকারের আমলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। তখন কিন্তু কেউ এর প্রতিবাদ বা বিরোধিতা করেনি। দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, আর ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে কিছু রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী মহল। আর তাদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। অতীতেও বিএনপি-জামায়াত চক্রের বাড়াবাড়ির কারণে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এদিকে গোপন সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে অনৈতিক দাবি আদায় করতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি আদায়, নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার চায় বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু সরকার তাদের দাবিতে কান না দেয়ায় হেফাজতের একাংশ এখন বিএনপির হয়ে ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে দরকষাকষি করতে চায়। তবে যেহেতু বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের নেতৃবৃন্দদের নিয়ন্ত্রণ করছে, তাই অতীতের অন্যান্য আন্দোলনের মতো এবার সব ভণ্ডুল হয়ে যাবে। কারণ বিএনপি-জামায়াত চক্র দাবি আদায় করতে গেলেই লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়। আন্দোলন ভণ্ডুল হলে হেফাজত নেতারা জনগণের সামনে মুখ দেখাতে পারবে না বলেও গুঞ্জন চাউর হয়েছে।