আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল এবং বিদেশিদের কাছে বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জামায়াত। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে জামায়াত।
সূত্র বলছে, কর্মসূচীর নামে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে মিলে দেশজুড়ে নাশকতা করবে জামায়াতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। তাই অনুমতি না মিললেও শনিবার (১৫ জুলাই) সিলেটে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অনড় যুদ্ধাপরাধী এই দলটির নেতারা।
এরই মধ্যে ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠ পরিদর্শন করেছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়েরসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সিলেটে জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
গোপন সূত্র বলছে, মগবাজারে জামায়াতের এক গোপন আস্তানায় বিএনপির উচ্চ সারির চার নেতার সঙ্গে ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ভয়ানক নাশকতা করে বর্তমান সরকারকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপে ফেলাই হবে এবারের ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য।
এখানেই শেষ নয়, লবিস্টদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে পরিকল্পনা সাজিয়েছে তারা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে নাটক করলেও তলে তলে তারা এক। আর বিএনপি ভালো করেই জানে- জামায়াতের সঙ্গে সত্যিকার ফাটল ধরলেও জামায়াতের ভোট কখনো বিএনপি ছাড়া অন্য কোথাও পড়বে না। তাই রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য প্রকাশ্যে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করার নাটক করছে। পুলিশের অনুমতি অমান্য করে সিলেটে জামায়াত যে সমাবেশ করতে যাচ্ছে, সেখানে কম করে হলেও ৪০ শতাংশ বিএনপির নেতাকর্মীর উপস্থিতি থাকবে। ক্ষমতায় যেতে এই দেশবিরোধী অপশক্তি ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মতোই নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস করবে। কারণ, এরা মানুষের সেবা করার চেয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতে বেশি পারদর্শী।