গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা শব্দটি অনেকবার উচ্চারিত হয়েছে। দেশবিরোধী চক্রের আস্ফালন দেখে কখনো কখনো মনে হয়েছে বাংলাদেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এ ধরণের কিছুই ঘটেনি। বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্ষমতার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, বিদেশে বসে ফেসবুক-ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে সেখানেই নিষেধাজ্ঞার কিছু গল্প শোনায় পেইড এজেন্ট ও লবিস্টরা। কিন্তু তাদের সকল অপচেষ্টা বৃথা গেছে। বিদেশি লবিস্টদের দিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে বারবার বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে।
এমনকি বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারেও সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রদের কাছে। কিন্তু ম্যাথু মিলার কিংবা বেদান্ত প্যাটেল বরাবরই বাংলাদেশের সাংবিধানিক পদ্ধতিকে এগিয়ে রেখেছেন। অগণতান্ত্রিক কোনো কিছুই তারা সমর্থন না করায় বিএনপির লবিস্টদের সেই সব আবদার ধোপে টেকেনি।
এদিকে গুজব সেল খ্যাত পিনাকী, ইলিয়াস, জুলকারনায়েন সায়ের, শাহেদ আলম, কর্নেল শহিদ, কনক সারোয়ারের মতো পলাতক কিছু দেশবিরোধী চক্র বিদেশে বসে নানান গুজব ছড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের কোনো তথ্যই সত্যি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি। কেননা তাদের পেছনে লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে টাকা লগ্নি করেছে তা বিফলে গেছে। আবার সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়েও চরম অপমানের স্বীকার হতে হয়েছে তারেককে, এমন খবরও বাজারে চাউর হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিদেশি যেসব লবিস্ট নিয়োগ করেছিল এবং মাসিক পেমেন্ট দিচ্ছিলো তাদেরকেও ফোনে ধুয়ে দিয়েছেন তারেক রহমান। যদিও বিদেশি লবিস্টদের কাছে টাকা ফেরত চাননি তারেক, শুধু গালাগালি করেছেন।