করোনা-পরবর্তী ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তাই ২০২৩ সালেও তৈরি পোশাকনির্ভর রপ্তানিতে সফলতা পাবে বাংলাদেশ। তবে একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও বাড়তি আমদানি ব্যয়ের কারণে তা মিটিয়ে যাবে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বাড়ায় তার ভার বাংলাদেশকেও বইতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ নিয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত পূর্বাভাসে সংস্থা জানায়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬.১ শতাংশ হতে পারে। যদিও চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬.৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি থেকে বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধি কম দেখিয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘কোপিং উইন শকস : মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য রোড টু রিসাইলিয়েন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটি ২০২৩ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। এর পরই রয়েছে ভারত। চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি হবে ঋণাত্মক। দেশটি মাইনাস ৪.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। শ্রীলঙ্কার থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৮ শতাংশ। এ ছাড়া একই সময় ভুটান ৪.১, নেপাল ৫.১ এবং পাকিস্তান মাত্র ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে আরো বলা হয়, যদিও করোনার কারণে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পরও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি শক্তিশালী থাকবে যদি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মার্কেট শেয়ার ধরে রাখা যায়। কারণ ইউরোপে আমদানি চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।