সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে অপরাধী যে-ই হোক না তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। যেমন, সাম্প্রতিককালের পুলিশ হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, চিফ জাস্টিসের বাড়ি আক্রমণ, মহিলাদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে হত্যা, বাসে আগুন এবং গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তথ্য-উপাত্তসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। অর্থাৎ গ্রেপ্তারকৃতদের কেউই রাজবন্দী নয়।
দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নির্বাচন বানচাল ও আন্দোলনের নামে যারাই ২৮ অক্টোবরের মত তাণ্ডব চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চেয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরই বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এনেছে আইনের আওতায়। এখানে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নেই। আর অপরাধী যে দলেরই হোক না কোন, তা দেখেনি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা। ৯ মার্চ (শনিবার) বিষয়টির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা ৩০টি, ২০১৮ সালে ৬টি আসন পেয়েছিল।
বিএনপির ‘হাজার হাজার রাজবন্দী’র দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের পেছনে অর্থ যোগান দিয়ে, মানুষের জানমালের ক্ষতি করে, পুলিশ পিটিয়ে মেরে, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়ে যারা দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায় বা চেয়েছে, পুলিশ শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে রাজবন্দীর বিষয়টি বিএনপি আনছেই শুধুমাত্র রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির ক্ষেত্রে। যা দেশের সাধারণ মানুষ বোঝে। আর বোঝে বলেই তাদের ব্যালট-ইভিএমের প্রতিটি ভোটেই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।