তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং একই সঙ্গে ভুলত্রুটি—দুটিই তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি না হয়ে একপেশে হয়ে যায়। সেটি দেশ ও সমাজকে উপকার করে না। যখন জাতির কোনো অর্জন হয়, সেই অর্জনের চিত্রটি যেন সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়, তা লক্ষ রাখা গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি পত্রিকার নব আঙ্গিকে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে আইএমএফের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২১ সালে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়েছি, পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছি বহু আগেই। সেই রিপোর্ট যখন বিশ্ব গণমাধ্যম তথা ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা আর সেখানকার নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের নিজেদের দেশে প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়নি। এ দায়িত্ব গণমাধ্যমের, কিন্তু সেটি হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে আমাদের দেশ থেকে নানা পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। সে জন্য যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, অবকাঠামো, নীতি, প্রণোদনা লাগে, সরকারই সেগুলো জোগায়। আমার অনুরোধ, যখন জাতির কোনো অর্জন হয়, সেই অর্জনের চিত্রটা যেন গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো কোনো প্রচারমাধ্যম কিংবা টেলিভিশনেও দেখা যায়, অনেক সময় ছোট বিষয়কে বড় করে দেখানো হয়, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখানো হয় না। আবার সরকারের অনেক অর্জন ছাপা হয় তৃতীয় পাতায় আর ভুলত্রুটি স্থান পায় প্রথম পাতায়। সেটি দেশ ও সমাজকে উপকার করে না। এ জন্য সবার সচেতন থাকা দরকার। মানুষের কাছে শুধু হতাশার চিত্র উপস্থাপন করা হলে জাতি হতাশ হবে। সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভবপর নয়, যা আশাবাদী হলে সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, আহসান আদেলুর রহমান, বেগম অপরাজিতা হক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফিরোজ আলম।