চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর নীরব ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন বিএনপি নেতারা। আবার ভবিষ্যতের রাজনীতির কথা চিন্তা করে জামায়াতকে ছাড়তে চান না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফলে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দোটানায় ভুগছে বিএনপি। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বা না রাখার বিষয়ে রাজনীতিতে লাভ-লোকসানের হিসাব করতে চান বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য সবশেষ স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, জামায়াতের বিষয়ে পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দায়িত্বশীল ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, রাজনৈতিকভাবে ফায়দা হাসিলের জন্য এবং আন্দোলনে জামায়াত-শিবির নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এটা ধরে নিয়েই তারেক রহমান জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে চান না।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের সঙ্গে জোট রাখাটা বিএনপির জন্য একটা বড় বোকামি। জামায়াতের মতো বি’শৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ’ঙ্গি সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে চলা বিএনপির বড় একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, জামায়াত প্রসঙ্গে বিএনপির বেশির ভাগ স্থায়ী কমিটির সদস্যই নেতিবাচক। শুধুমাত্র তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় এখন পর্যন্ত যু’দ্ধাপরাধী এই দলের সঙ্গে সখ্য রয়েছে তাদের। এমনকি তরুণ প্রজন্মের কর্মী সমর্থকরাও চায় না জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করুক বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সাবেক নেতাদের নিয়ে এবি পার্টি গঠন ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নীরব ভূমিকা পালনের জন্য বিএনপির বেশির ভাগ নেতাই হতবাক। শুধুমাত্র তারেক রহমানের কারণেই এখনো জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিএনপির। ফলে জামায়াত নিয়ে দোটানায় ভুগছে দলের হাইকমান্ড।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবিরা বলেন, বিএনপি যু’দ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে না পারলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে না। কারণ এ দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন, তারা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভালোভাবে নেয় না। নিউজব্যাংক।