নিউজ ডেস্ক: ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মেতে ওঠে বিরোধী দল ও মতের মানুষ নিধনে। অপারেশন ক্লিনহার্ট ও র্যাব গঠন করে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী মতের মানুষদের বিনাবিচারে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে চার দলীয় জোট সরকার।
তথ্যসূত্র বলছে, ১৯৯৫ সালে সারের দাবিতে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে বিনাবিচারে গুলি করে হত্যা করে বিএনপি সরকার। পরবর্তীতে ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের পর বিএনপি-জামায়াত জোট গুম, হত্যার যে রাজনীতির সূচনা করেছিল তা পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকে। ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে প্রায় ৬০ জন মানুষকে বিনাবিচারে হত্যা করে তৎকালীন সরকার। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৫৫ জন ব্যক্তিকে বিনা বিচার হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। এর মধ্যে ২০০৪ সালে ২১০ জন, ২০০৫ সালে ৩৭৭, ২০০৬ সালে ৩৬২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, ২০০৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত ২৪ কৃষককে বিনাবিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। যার ফলে দেশ-বিদেশে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন খালেদা-নিজামিরা। এই সময়কালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই সময়টাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৮ বারের বেশি চেষ্টা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটেছিল বিএনপি-জামাতের সেই দুঃশাসনের কালেই।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই শাসনামল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে আছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা, গুম, সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতন, নারী ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ৪ দলীয় জোট সরকার।