আন্দোলনে ব্যর্থতার পর নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বেকায়দায় থাকা বিএনপি এখন দেশে পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ থাকার পরও সারাদেশের বাজার পরিস্থিতি বেসামাল করার পাঁয়তারা করছে। দলটির শক্তিশালী সিন্ডিকেটই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ইতোমধ্যে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে দেশের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে প্রমাণ এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তারা অসত্য, কাল্পনিক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী এই মহলটি বলছে- নিত্যপণ্যে অধিক মূল্যের কারণে দেশের মানুষ নাকি ইফতার করতে পারছে না।
অথচ, বাজারের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। উপচে পড়া ভীড় সেখানে। সবাই ব্যাগভর্তি বাজার করে বাড়ি ফিরছে। তবে হ্যাঁ, রমজান মাসকে টার্গেট করে অতি মুনাফা এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি মহল বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের শক্ত হাতে দমন করেছে সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১-০৬ বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা বাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য মজুদ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তবে এখন বাজার নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ মানুষের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। তবুও একটি পক্ষ বাজারে কৃতিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মনে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা এ কাজটি করছে তারা মূলত দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু।
