logo
Tuesday , 30 April 2024
  1. সকল নিউজ

স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়ার ‘মুখোশ উন্মোচন’ করতে হবে : শেখ পরশ

প্রতিবেদক
admin
April 30, 2024 11:40 am

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের রক্তে রঞ্জিত জিয়াউর রহমানের হাত। তাই বিএনপি নেতারা যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের বড়ই নির্লজ্জ মনে হয়। শুধু তাই নয়, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ‘মুখোশ উন্মোচনের’ দাবি জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৮ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে পরশ বলেন, ‘ইতিহাসের গতিপ্রবাহে শেখ জামালের কীর্তি চিরভাস্বর হয়ে আছে। তার কৃতিত্ব যদি জাতির সামনে তুলে ধরা না হয়, তবে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। পরিতাপের বিষয়, শেখ জামাল সম্বন্ধে লেখা-লেখি, গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত এখনও অপ্রতুল; যা প্রকাশিত হচ্ছে তার বেশিরভাগই পুনরাবৃত্তি এবং সরলীকরণ। প্রকৃত গবেষণার এখনও বড় অভাব।’

তিনি বলেন, ‘শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একজন সাহসী বীরযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন গর্বিত সেনা অফিসার। বঙ্গবন্ধু তার সেনা অফিসারদেরকেও সন্তানদের মতোই ভালবাসতেন। সেই সন্তানতুল্য একদল উচ্ছৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তাদের হাতেই তার আদরের জামালের প্রাণ গেল। এ যেন গ্রিক ট্রাজেডির ড্রামাটিক আয়রনি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারের রক্তপাত যেসব সেনা সদস্য করেছিল, তাদের সেনা আইনে বিচার করতে শুধু ব্যর্থ হন নাই সে সময়ের সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ ও উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান, মেজর জিয়া তো শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। যার ইঙ্গিত পাওয়া যায় জিয়াউর রহমানেরই পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেই।

‘মেজর জিয়ার অবৈধ সরকার খুনিদের পুরস্কৃত করে। সেই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা যাবে না বলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে জিয়াউর রহমানের পার্লামেন্ট। খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, দুজন খুনিকে জনগণের ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদে সদস্যপদও দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের রক্তে রঞ্জিত এই জিয়াউর রহমানের হাত। সুতরাং জিয়াউর রহমানের বিএনপির নেতারা যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলে, ওদেরকে বড়ই নির্লজ্জ মনে হয়।’

পরিশেষে একটা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান পরশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘পঁচাত্তরের খুনিরা গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকে পারিবারিক কলহের রূপ দিতে চেয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও তার ভাগ্নে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ সবাইকে হত্যা করে খুনিরা।’

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আজকের তরুণদের সঠিক শিক্ষা নিয়ে গড়ে উঠতে হবে। ১৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ছাড়া কেউ মাঠে ছিল না। এখন সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, যেন নতুন কোনো ষড়যন্ত্র দেশকে পিছিয়ে দিতে না পারে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বৈদ্য, ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস মিজানসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

সর্বশেষ - সকল নিউজ