logo
Sunday , 10 March 2024
  1. সকল নিউজ

সীমান্ত সড়কে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট

প্রতিবেদক
admin
March 10, 2024 11:41 am

পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক দেশে এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে। এই সড়কের কারণে এখানকার দৃশ্যপট রাতারাতি পাল্টে গেছে। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সড়কটি সীমান্ত এলাকার সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে যাচ্ছে। এটির দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার।
৩টি ফেজে এই প্রকল্প সমাপ্ত করতে সময় ধরা হয়েছে ১০ বছর। কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রথম ফেজে ৩১৭ কিলোমিটার কাজ সমাপ্ত হবে চলতি বছরের জুন মাসে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৮৬১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ২২০ কিমি সড়কের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আরও ৪৭ কিমি সড়কের কাজ চলমান আছে। অবশিষ্ট ৪০ কিমি সড়কও দৃশ্যমান হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া জানান।

এই সীমান্ত সড়কটি বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থেকে শুরু হয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা হয়ে রামগড় উপজেলা সীমান্তে গিয়ে সমাপ্ত হবে।
শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ১৩,২৯৫ বর্গ কিমি পশ্চাৎপদ পার্বত্যাঞ্চলকে নিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমগ্র অঞ্চলকে সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার এই সড়ক নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশনের হাতে ন্যস্ত করেছে। এরা ১৭,২০ ও ২৬ কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিয়ে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গামাটির জুড়াইছড়ি উপজেলার সীমান্তের সাইচল এলাকায় একদল সাংবাদিকদের নিকট সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লা নুরী ও কনস্ট্রাকশন ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল  ইফতেখার আনিস এই সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন কল্যাণমুখী দিকের কথা তুলে ধরেন। এই সময়ে তাদের সঙ্গে ছিলেন এমও পরিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব, ৩৪ কনস্ট্রাকশনের কমান্ডার আহমেদ শরিফ, এই প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া, চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ ময়নুল হাসান প্রমুখ।
রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলা সদর থেকে সাইচল সীমান্ত পর্যন্ত ৪৫ কিমি সড়ক দেখার মতো। এই সড়কের উভয় পাশে তেমন বাড়িঘর না থাকলেও এর মনোরম পরিবেশ ও দৃশ্যাবলি মনোমুগ্ধকর। এই সড়কটি গড়ে ৭শ’ থেকে ১০০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়া দিয়ে গেছে। সাইচল থেকে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ দেখা যায়। সীমান্ত রেখা ছাড়া উভয় এলাকার প্রকৃতিক সৌন্দর্য এক রকম। রাজস্থলী থেকে পাহাড়ি পথে যাওয়ার সময় প্রথমে পড়ে চিংচাং খাল। এটি একটি পাহাড়ি ঝরনা ধরার খাল।

এরপর ধর্মঘর এলাকা। এখানে পথিকদের থাকার জন্য এক সময় প্রান্তশালা ছিল। এরপর চোখে পড়ে হলুদিয়া পাড়া। এখানে হাতেগোনা কয়েটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঘর রয়েছে। পরে রয়েছে মিতিংগা ছড়ি ক্যাম্প। এরপর রয়েছে ভিউপয়েন্ট যা দেখলে সাজেকের ভিউ পয়েন্টকে হার মানায়। এখানে দাঁড়ালে শুধু শ্যামল বর্ণের পাহাড় আর পাহাড় যেদিকে তাকাই যেন মন জুড়িয়ে যায়। এ যেন গ্রিন ক্যাসেল।
রূপাছড়া এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানবি তংচঙ্গা জানান, এই সড়কের কারণে তারা এখনই সুফল পাচ্ছেন। এক সময় তাদের কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের অভাবে পচে যেত। এখন কয়েক ঘণ্টায় রাজস্থলী বাজারে নিয়ে বিক্রি করে  ফেরা যাচ্ছে। এই সড়কের কারণে দেশের অন্যতম আরও একটি পর্যটনের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। সাইচলে এখই গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

‘বিএনপি-জামায়াত সংগ্রামের নামে দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে’

সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলমন্ত্রী

কোস্ট গার্ড সদস্যদের সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ভারত ও বাংলাদেশ বাণিজ্যে যোগ হচ্ছে নতুন পথ

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

বন্দরে কয়লার জাহাজের ভিড় লেগে গেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

বিএনপির মুখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা শোভা পায় না: কাদের

হিন্দু নাম ব্যবহার করে অভিনব তথ্য সন্ত্রাসের হোতা পিনাকী ভট্টাচার্য

ভারত সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অহংকার বিশ্বের বিস্ময়