logo
Thursday , 1 February 2024
  1. সকল নিউজ

প্রতিবছর এক বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
admin
February 1, 2024 9:51 am

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে এক বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ ছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করব।

জাহাঙ্গীর কবির নানক জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থাপিত ইপিবির বুথে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। পাঁচ দিনের ইভেন্টের পর, অ্যাম্বিয়েন্ত প্রদর্শনী মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ১৭০টি দেশের ৪ হাজার ৯২৮ প্রদর্শকদের সঙ্গে ভোগ্যপণ্যের জন্য সর্ববৃহৎ বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম সর্বশেষ ট্রেন্ড তুলে ধরেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপির) নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, দূতাবাসের কমার্শিয়াল মিনিস্টার সাইফুল ইসলাম, আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।

জার্মানি আমাদের রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় গন্তব্যস্থল। জার্মানিতে আমরা প্রতিবছর ৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি করি। যার ৯০ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য। রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় পাট উৎপাদনকারী দেশ।

বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। আমাদের কাঁচা পাট জার্মানির মার্সিডিজ গাড়ির ফ্রন্টডেক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা পাট দিয়ে ২৮২ ধরণের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের ১৩৫টি দেশে রপ্তানি হয়।

মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি।

তিনি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৮ জন উদ্যোক্তা মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়েছে। ইপিবির সহযোগিতায় এসেছে ১১ জন উদ্যোক্তা।

মন্ত্রী বলেন, তিনি দেশে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী মেলায় যাতে আরো বেশি উদ্যোক্ত নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। প্রয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতায় জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করব। মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মেলার হেড অব ইন্টারন্যাশনাল স্টেফান সুন্ডার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কর্মকর্তা ওমর সালাউদ্দিন।

১২.০ (ডাইনিং) এ, প্যারাগন সিরামিকস, আর্টিসান সিরামিকস এবং প্রোটিক সিরামিকসের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছে। বিডি ক্রিয়েশন, প্রোক্রিটি, ঢাকা হ্যান্ডিক্রাফ্ট, আরএফএল প্লাস্টিক এবং গোল্ডেন জুট সহ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল ১০.১,১০.৪,১১.০ এবং ১১.১ তে অংশ নিয়েছে।

মেলার আয়েজক মেসে ফ্রাঙ্কফুট জানিয়েছে, ভারতের পর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।

বেঙ্গল পলিমারের আন্তর্জাতিক বিপণনের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, তারা মেলা থেকে খুবই ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।

আর্টিসান সিরামিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এবছরের প্রদর্শনীতে আরো বেশি রপ্তানি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ