লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সন্ত্রাসীদের লালন ও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। ফলে শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তিনি। লন্ডনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ এবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যের সফরকে কেন্দ্র করে নোংরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তারেক। বিএনপি লালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন তিনি। লন্ডন পুলিশ সতর্কবার্তা দিলেও শোনেননি তিনি। এ কারণে পুলিশ তারেকসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছিল। সেই সময় আটককৃতরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় এবং তারেক রহমান ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর অঙ্গীকার করেন।
শেষ পর্যন্ত অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসীদের লালনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে এবার বড় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে, তারেক রহমানের শাস্তির খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। কারণ, তারেক রহমানের নির্দেশনা ছাড়া তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল বিএনপিতে কোন্দলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ ব্যবহার, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অতীতে লন্ডনে বেশ কয়েকবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই মুচলেকাসহ নানাভাবে ছাড় পেয়েছেন। কিন্তু এবার লন্ডনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার অপরাধগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
তারা আরো বলেন, বিএনপি এমনিতেই কোন্দলে জর্জরিত। এর মধ্যে তারেক রহমান শাস্তির মুখে পড়লে তারা রাজনৈতিকভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
