তারিখের পর তারিখ, দফার পর দফা ঘোষণা করেও আন্দোলন জমাতে পারছে না বিএনপি। অবশেষে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ডাক দিয়েছে কালো পতাকা মিছিলেরও। অবশেষে তাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো।
আগের মতোই একই ফলাফল। বিএনপির এই কর্মসূচিতেও নেই জনসম্পৃক্ততা। বাধ্য হয়ে ভাড়াটে লোক দিয়েই কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে, যা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ বলেই মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
তারা বলছেন, বিএনপি শেষ। তাদেরকে মানুষ আর চায় না। যে কারণে বিএনপি ঘোষিত কোনো কর্মসূচিতেই মানুষ সায় দিচ্ছে না। আর যে কজনও বা আসছেন, তারা এসে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেলফি তোলায় বা চা খেয়ে খোশগল্প করায়।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও সরকারের সংসদ বাতিলসহ ১ দফা দাবিতে ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল বের করে বিএনপি। কিন্তু সেখানে খোদ দলের নেতাকর্মীরাই ছিলেন অনুপস্থিত। পরে বিষয়টি যাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়, সে কারণে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে তরুণ আসে। তারা এসেই বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
তবে মিনিট পাঁচ-এক পরে তারা আবার দলছুট হয়ে ঠাঁই নেই পার্শ্ববর্তী চা-সিগারেট ও আমড়া-বাদামের ভ্রাম্যমাণ দোকানে। আবার কেউবা ব্যস্ত হয়ে পড়েন খোশগল্প আর সেলফি তোলায়।
সিনিয়র নেতাদের ভাষ্য, তারেক রহমানের স্বৈরাচারী নেতৃত্বের কারণে এখন আর তৃণমূলের কেউ আন্দোলন-সংগ্রামে আগ্রহ খুঁজে পায় না। সে কারণেই দিন দিন কমে যাচ্ছে তাদের সম্পৃক্ততা। তবে এই অবস্থার এখনই পরিবর্তন না ঘটলে অচিরেই বিএনপির আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আর এজন্য অন্য কেউ নয়, দায়ী থাকবেন কেবলই তারেক রহমান।
রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হলে কেউ পতাকা মিছিলে এসে চা খাওয়া কিংবা সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকতে পারে না। এ থেকেই বোঝা যায়, বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা তলানিতে। যার ফলে লাগাতার এমন ঘটনা ঘটছে। এখনই সচেতন না হলে মহাকালের গর্ভে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিলীন হবে বিএনপি।