logo
Wednesday , 6 March 2024
  1. সকল নিউজ

প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চিন্তা সরকারের

প্রতিবেদক
admin
March 6, 2024 10:07 am

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমরা ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই।গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ও এগোচ্ছে। মেঘালয়, ত্রিপুরা বা আসাম হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

তিনি বলেন, এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি বা গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আমরা ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই।

ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে।এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতি মাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য। বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।

এলপিজির চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এসব খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ভারতে কীভাবে কাজ করতে পারে, এ বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনা করা যেতে পারে।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। এ সময় হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ইত্যাদি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।

সর্বশেষ - সকল নিউজ