দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। নতুন সরকার গঠন ও মন্ত্রিসভা দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। কিন্তু খাদের কিনারে নিক্ষিপ্ত হয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে আরও ২৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও বিএনপির সঙ্গে জোট করায় পড়েছে বিশাল সংকটে। যে সংকট থেকে বের হতে বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে বিরোধী চক্রটি।
সরকার পতনের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও হালে পানি পায়নি বিএনপি। পরে তারা ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচনের পরও আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। কিন্তু নির্বাচনের পর দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রতিনিয়ত নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দলটি। এমনকি নিজেদের মধ্যে কোন্দলই মেটাতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ চাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ড সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। বৈঠকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সকল নেতাকর্মীদের জামিন নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো বারবার বলছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং জাতিসংঘসহ পশ্চিমাবিশ্ব সাম্প্রতিক নির্বাচনের ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারকে বিতর্কিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এই প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।
সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে তা হলো, বিএনপি নিজেদের শক্তিতে আরও বলীয়ান হতে পারছে না। তারা তৃতীয় কোনো শক্তিকে দেশের অভ্যন্তরে আনতে চাইছে। যা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য বিরাট হুমকি হতে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। আশা করছি, বিশ্বের এসব দেশ এই সরকারকে চাপ দিয়ে নির্বাচন বাতিল করতে বাধ্য করাবে। তখন আমরা নতুনভাবে মাঠে নামবো।