logo
Sunday , 14 January 2024
  1. সকল নিউজ

চালুর অপেক্ষায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

প্রতিবেদক
admin
January 14, 2024 9:42 am

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চালুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টাইগার পাস থেকে লালখান বাজার অংশের পিলার নির্মাণকাজও শেষ। এই অংশে চলছে গার্ডার বসানোর কাজ। আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে চালু হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। গত ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওইদিন পতেঙ্গা থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার জন্য যানবাহন চলাচল করেছিল। নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকায় এরপর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ার পর থেকে বন্দরসহ নানা সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের যানবাহন ব্যবস্থাপনা, এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পরিকল্পনা, চূড়ান্ত নকশা, নির্মাণকাজ, এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার পথ (র‌্যাম্প) ও সংস্কার করা সড়ক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ও অ্যানিমেশন ভিডিও চসিক মেয়রের কাছে উপস্থাপন করে। এ সময় চসিক মেয়র এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় দেওয়ানহাটের বর্তমান জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেন। সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে চসিককে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। যানবাহন চলাচলে চসিক-সিডিএর সমন্বিত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখন বাকি কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে যান চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা যাবে। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় নগরে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করা জরুরি। এ নিয়ে চসিক-সিডিএ যৌথ বৈঠক করে করণীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সিডিএ ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকায় পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়েটি পতেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে লালখান বাজারে শেষ হয়। পুরো এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি এলাকায় গাড়ি ওঠানামার জন্য ১৪টি র‌্যাম্প রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জিইসি মোড়ে দুটি, টাইগার পাস মোড়ে দুটি, আগ্রাবাদ মোড়ে দুটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেড মোড়ে দুটি এবং কেইপিজেড মোড়ে দুটি। প্রতিটি র‌্যাম্প হবে দুই লেনের এবং একমুখী। চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত হয়েছে ৩৮৯টি পিলার, বসানো হয়েছে ৩৮৯টি গার্ডার। তবে বিভিন্ন অংশে ওঠানামার জন্য ১৪টি র‌্যাম্প নির্মাণের কথা থাকলেও সেগুলো এখনো নির্মাণ করা হয়নি। জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সড়ক পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট। দুই লেনের সড়কটির নিত্যসঙ্গী যানজট। বিশেষ করে দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ মোড়, ইপিজেড মোড়, বন্দরটিলাসহ নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে গাড়ি স্থির হয়েই দাঁড়িয়ে থাকে। ১ ঘণ্টার সড়ক পার হতে সময় লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। যানজটে পড়ে বিমান মিস করার ঘটনাও কম নয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। গণপরিবহনের যাত্রীদের ভোগান্তিও দীর্ঘদিনের। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হওয়ায় এ সমস্যা নিরসন হবে। পণ্যবাহী ও দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করলে মূল সড়কে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ