logo
Tuesday , 12 December 2023
  1. সকল নিউজ

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিবেদক
admin
December 12, 2023 9:33 am

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। আমরা নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আমরা বিশ্ব দরবারে মানবাধিকার রক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।

তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছি, যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে মানবাধিকার সংক্রান্ত আটটি আন্তর্জাতিক দলিলে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)-এর নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কাজ করছে।

‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার’। এই প্রতিপাদ্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে আর কিছু ছিল না। সেই কালরাতে আমাদের পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের যাতে কেউ বিচার করতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে আমাদের স্বজনদের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পূর্বে আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা করতে পারিনি। সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আমরা গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদেরও বিচারের আওতায় এনেছি। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতোমধ্যে কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে বর্তমানে কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, শৈশব/কৈশোর থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইনভিত্তিক ‘মানবাধিকার কোর্স’ চালু করেছি। তাছাড়া, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কমিশনের উদ্যোগে ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের দুদকে তলব ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ শাসনামলেই গণতন্ত্র চর্চা হয়-টোকিওতে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাতে চায় বিএনপি : সেতুমন্ত্রী

বিকেলে আরামবাগে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা

১৬৭ ভিক্ষুককে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠালো ডিএনসিসি

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ছে ৫ হাজার

এক বছরে ১৬ লাখ বাংলাদেশি ভারতের ভিসা নিয়েছেন

বিএনপির আমলে কৃষকরা বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন : মেয়র লিটন

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী, কমেছে ডলারের দর