বছরে প্রায় ২৫ লাখ কর্মঘণ্টা বাঁচাবে মেট্রোরেল


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ২৩, ২০২৩, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন | 518
বছরে প্রায় ২৫ লাখ কর্মঘণ্টা বাঁচাবে মেট্রোরেল

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলেই মেট্রোরেল নগরকে দিয়েছে যাদুর পরশ। এখন ওপরের গতির পাশাপাশি স্বস্তি ফিরেছে নিচের পথেও। আর তো তিন মাস! এরপরই চালু হয়ে যাচ্ছে সুদূর মতিঝিল পর্যন্ত। ঢাকাবাসীর বছরে প্রায় ২৫ লাখ কর্মঘণ্টা বাঁচিয়ে এ নগর ফিরবে নতুন রূপে।

যেনো সময়ের ডানা মেলা পাখি। দীর্ঘদিনের খাঁচায় বন্দি জীবন এবার পেয়েছে মুক্ত বিহঙ্গ! সেই ডানায় ভর দিয়ে ছুটে চলবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।

এমআরটি লাইন সিক্স। ঢাকা ম্যা‌স র‌্যাপিড ট্রানজিড লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রথম প্রকল্পে উত্তরা থেকে কমলাপুর ২১ কিলোমিটার, স্টেশন ১৬টি; উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারে ৯টি স্টেশন। এখন এ পথে নিত্যদিনের নির্ভরতা মেট্রোরেল।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু। ৫টি কোচ দিয়ে চলছে অপারেশন। প্রথম দফায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা। উত্তরা থেকে আসার পথে ২৫ ট্রিপ, যেতে ২৫ ট্রিপ। পরের ধাপে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা আসা-যাওয়ায় ৩৭ ট্রিপ। তৃতীয় ধাপ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা আসা-যাওয়ায় ট্রিপ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এখন চলছে সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা – আসায় ৬৯ ট্রিপ আর যাওয়ায় ৭১ ট্রিপ।

গড়ে দৈনিক ৬৫-৭০ হাজার যাত্রী চলে এ পথে। আর শুক্রবার থাকে বন্ধ। টিকিট বিক্রিতে আয় গড়ে প্রতিদিন ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন ১২-১৫ শতাংশ যাত্রী। লক্ষ্য মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন। কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ যাত্রী পরিবহন।

তাহলে সেই অংশের খবর কী! আগারগাঁও পাড়ি দিয়ে রেল এখন ট্রায়েল দিচ্ছে মতিঝিল পর্যন্ত। চলছে ফাংশনাল টেস্ট। এরপর সিস্টেম ইন্টিগ্রেটিড টেস্ট করবে ডিএমটিসিএল। তারপর হবে প্রথম ধাপের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সমন্বয়। অক্টোবরের শেষে উদ্বোধন। এ পথে ৮ দশমিক ১১ কিলোমিটার, স্টেশন ৭টি।

গবেষণা উঠে এসেছে, রাজধানীতে পথে যানজটের কবলে প্রতি বছর গড়ে ৩৬ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। উত্তরা থেকে আগারগাঁও চালুতে সেখান থেকে প্রায় ৪ লাখ কর্মঘণ্টা বাদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মতিঝিলে গেলে মিরপুর সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আর প্রগতি সরণিতে চাপ কমবে। আবার ভায়াডাক্টের ওপরের গতিতে নিচের সড়কে যে চাপ কমবে তা এ সংখ্যা ১০ লাখে নামিয়ে আনবে। আসছে এক বছরে এ মেট্রোরেল নতুন রূপ দেবে ঢাকাকে।

শেষ প্রান্তে মতিঝিল থেকে কমলাপুরের কাজ হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। আর এ এক কিলোমিটার পথ যুক্ত হলে নগরের সঙ্গে প্রান্তিকের তৈরি হবে এক নতুন যোগসূত্র।