সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করছি— আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট র্যাম্প পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই অংশটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, হাতিরঝিল থেকে মাতিঝিল পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংশোধনী অংশ নিয়ে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ভিন্ন প্রস্তাব আছে। তাই এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখছেন এবং নিষ্পত্তি তিনিই করছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর থেকে কাউলা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠে ঢাকা-চট্টগ্রামের কুতুবখালীতে গিয়ে নামবে। তাতে ঢাকা শহরের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এখানে যানবাহনে চাপ অনেক কমে যাবে।
সেতু ভবন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল- বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত প্রকল্পের রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটিতে ওঠার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের ২৭ শতাংশ, অর্থাৎ ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বহন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।