এবার শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো বিএনপি


admin প্রকাশের সময় : জুন ১৫, ২০২৩, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন | 722
এবার শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো বিএনপি

১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা অপারেশনের অংশ হিসাবে একাধিক দেশে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম দুটি অপারেশনে অংশগ্রহণ করে, একটি হল ইরাক UNIIMOG এবং নামিবিয়া UNTAG। শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে একাধিকবার সমগ্র বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ।

এই গৌরবকে ম্লান করে দিতে, উঠে পড়ে লেগেছে এক শ্রেণীর কুচক্রী বাহিনী। সম্প্রতি আমেরিকা ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ থেকে শান্তি মিশনে লোক নেওয়ার আগে তাদের অতীত পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, শান্তি মিশনে যাদের নেওয়া হচ্ছে তারা অতীতে কোন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কিনা তা যাচাইপূর্বক শান্তি মিশনের জন্য তাদের সিলেক্ট করা উচিত।

আর এই বিষয়টিকে ক্যাশ করেছে বিএনপি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। তারা জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার এর কাছে এই আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার শিগগির বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই বিবৃতি এমন এক সময় দেওয়া হলো বাংলাদেশের নির্বাচন আসন্ন এবং এই নির্বাচন নিয়ে নানারকম চক্রান্ত চলছে। আর বিএনপি তাদের দলীয় টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি সমর্থন করেছে। যা বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।

জানা যায়, বিতর্কিত এই মানবাধিকার সংস্থাটি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও বাধা প্রদানের চেষ্টা করেছিল। সেই সময় যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী তাদেরকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান দিয়েছিল এমন অভিযোগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময় ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে এই বিচারের বৈধতা নিয়ে এবং বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। যদিও বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এবং এই বিচার সর্বোচ্চ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একের পর এক নালিশ করতে থাকে।