সংস্থাটি জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নতা, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি এবং নতুন করে আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) কারণে গত বছর আমদানি কমেছে। তবে এর মধ্যেও শাওমি ও নোকিয়া এইচএমডির হ্যান্ডসেট সরবরাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। এর কারণ ছিল কম্পানি দুটির ফোনের স্থানীয়করণ, দাম নির্ধারণের কৌশল এবং সহজলভ্যতা।
২০২২ সালে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন সরবরাহ করে প্রথমবারের মতো প্রথম স্থানে উঠে আসে শাওমি। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কম্পানিটির স্মার্টফোন সরবরাহ প্রায় দ্বিগুণ হয়। কম্পানিটির মার্কেট শেয়ার ১৮ শতাংশ। শাওমির বাজেট স্মার্টফোন রেডমির দাম ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। এর আগের বছর দক্ষিণ কোরীয় কম্পানি স্যামসাং প্রথম স্থানে থাকলেও ২০২২ সালে কম্পানিটি ১৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যায়। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় কম্পানিটির স্মার্টফোন সরবরাহ কমে যায়। ২০২১ সালে স্যামসাংয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ১৮ শতাংশ।
১১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে রিয়েলমে। ২০২১ সালে কম্পানিটি ১৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। ২০২২ সালে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিল যথাক্রমে ভিভো ও অপো। কম্পানি দুটি তাদের মার্কেট শেয়ার ধরে রাখতে পারলেও ২০২২ সালে সরবরাহ কমেছে যথাক্রমে ১৭ ও ২৮ শতাংশ।
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ৫জি সক্ষম স্মার্টফোন সরবরাহ ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধি এসেছে ১৫১ শতাংশ। বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে ৫জি ফোনের অংশগ্রহণ বেড়ে হয়েছে ১৭ শতাংশ। সূত্র : কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ