আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি ৩১ জুলাই ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা পুলিশের ওপর গুলি ছুড়েছে। তাতে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় বিএনপি অফিসে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সদস্য যে যুবক মারা গেছেন, ডাক্তার বলছেন হেড ইনজুরির অর্থাৎ ইটপাটকেলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। তবে বিএনপি লাশ ফেলতে চায়, তার অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভোলায় বিএনপি যে সেখানে মিছিল-সমাবেশ করবে সেটি পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেনি। এরপরও তারা যাতে মিছিল সমাবেশ করতে পারে সেজন্য পুলিশ সহযোগিতা করেছে। যখন তারা দোকানপাট ভাঙচুর করা শুরু করে, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে, তখন পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। শুধু ইটপাটকেল নিক্ষেপ নয়, বিএনপি পুলিশের প্রতি গুলি ছুড়েছে। এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া একজন পুলিশ সদস্যকে ধরে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তারা মারধর করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও রাস্তায় নামেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এখনও আমাদের নেতাকর্মীদের সেই আহ্বান জানাইনি। তবে আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাই, বিএনপি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিএনপির হরতাল ডাকার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি অতীতেও হরতাল ডেকেছিল, তখন দেশব্যাপী যানজট হয়েছে। হরতাল ডেকে তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয় না। আর আগের মতো তারা অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখার অপচেষ্টা চালালে মানুষই বরং তাদের প্রতিহত করবে।