এর আগের পর্বে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে থেকে তাসনিম খলিল কিভাবে দেশের মূল্যবান তথ্য বিদেশিদের কাছে অর্থের বিনিময়ে প্রদান করতো। পরবর্তীতে তার এই অপকর্ম আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ফাঁস হয়ে গেলে সে দেশ ছেড়ে সুইডেনে পালিয়ে যায়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও কি দেশের বিরুদ্ধে তার অপকর্ম থেমে গিয়েছে ? বিদেশে বসে সে দেশের বিরুদ্ধে কি কি অপকর্ম করেছে আজ আপনাদেরকে সেইসব বিষয় গুলো জানাবো।
দেশ থেকে পালিয়ে যাবার পর তাসনিম খলিলের সখ্যতা গড়ে ওঠে দেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডিস্ট জুলকারনাইন ওরফে সামিউল এবং কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এর সাথে। জুলকারনাইন তখন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গুজব ছড়াতো । পরবর্তীতে তাসনিম খলিলও যোগ দেয় তাদের দলে। তাসনিম খলিল , জুলকারনাইন , আহমেদ কবির কিশোর সবাই মিলে শুরু করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মিশন। তারা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেয় , যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আহমেদ কবির কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করতো। ২০২০ সালের ৫ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের নামে মামলা হয় এবং আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন ওরফে সামিউল, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’-এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
এই মামলার পরে ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে তাসনিম খলিলের এক্টিভিটি কমে যায়। এরপর সে নেত্র নিউজ নাম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে তার প্রোপাগান্ডা চালানো অব্যাহত রাখে। এই নেত্র নিউজের মাধ্যমে তাসনিম খলিল করোনা ভাইরাস ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ,পদ্মা সেতু সহ নানা বিষয় নিয়ে ভুল তথ্য এবং মিথ্যা খবর প্রচার করে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আছে- এ রকম অসত্য তথ্য প্রতিষ্ঠা করতেও ব্যস্ত নেত্র নিউজ। সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই স্পষ্ট করে বলা হলেও তা মানতে নারাজ নেত্র নিউজ। এ অপকর্মে নেত্র নিউজের তাসনিম খলিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, ইউরোপ প্রবাসী পিনাকী ভট্টাচার্য ও সামিউল। এই চক্র কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় বিভিন্ন সময় ভুয়া তথ্য দিয়ে এক ডজনেরও বেশি প্রতিবেদন প্রচার করেছে। রাষ্ট্রবিরোধী সংবাদ পরিবেশনের দায়ে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান ও মিসরে এখনও নিষিদ্ধ আল জাজিরা।
আল জাজিরা টেলিভিশন দুমুখো সাপ। তারা আরবি ভাষায় প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সমকামিতার বিপক্ষে বলে আবার ইংরেজিতে একই বিষয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচারে সমকামিতার পক্ষে মতামত হাজির করে। তাদের সঙ্গী হলো নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল, যে ইউরোপে বসে চালাচ্ছে দেশবিরোধী অপতৎপরতা। সে বাংলাদেশকে মাফিয়া স্টেট বলে। ভিনদেশি শক্তি ও টাকার কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে তাসনিম খলিল এখন দেশের শত্রু বিভীষণ।
তাসনিম খলিলের সকল মুখোশ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ,সুইডেন সহ আরো অনেক দেশে প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে তার নামে মামলা রয়েছে। তার এজেন্ডাভিত্তিক সাংবাদিকতা কখনই সফল হওয়ার নয়।